অপরাধীরা ধরা পড়ছে না কেন, পুলিশের কাছে প্রশ্ন রিজভীর
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:০৩ এএম
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী। ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘দুষ্কৃতিকারীরা সারা বাংলাদেশে রক্তপাত করছে, কিন্তু ধরা পড়ছে না কেন? তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না কেন, আগে তো এমনটি ছিল না, অপরাধ করার পর কয়েকদিনের মধ্যে তাদের খুঁজে পাওয়া যেত, ধরা যেত, একদিন দুদিন অথবা এক মাস তাদের ধরা যেত, ধরা পড়েছেই তারা।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে লক্ষ্মীপুরের ভবানীগঞ্জের সুতার গোপটা এলাকায় জেলা বিএনপি আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী আওয়ামীলীগের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, এদের অত্যাচার, নৃশংসতা, ভয়বহতা, রক্ত পিপাসু ও এদের চেতনা সারা বাংলাদেশকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছিল। ৫ আগস্ট পুলিশের গুলির মুখে নিজের জীবন দিয়ে ছাত্র জনতা শেখ হাসিনার মতো ভয়ংকর দানবীকে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করেছিল। তারপরও তারা থেমে নেই, তারা বাংলাদেশকে স্থীতিশীল থাকতে দিবে না, যারা আশ্রয় দিয়েছে সেখান থেকে দুধ-কলা দিয়ে পোষণ করে সুতার টান দিচ্ছে, চট্টগ্রামের বিএনপি নেতাকে গুলি, ঢাকায় তরুণ ছাত্র নেতা হাদিকে গুলি করে হত্যা আর লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে শিশু হত্যা একই সুত্রে গাঁথা বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমি পুলিশ প্রশাসনকে বলছি আপনারা তৎপর হোন, না হলে আপনাদের প্রতি সন্দেহ জাগবে। আপনাদের নিষ্ক্রিয়তার কারণে অপরাধী ও খুনিরা পার পেয়ে গেলে এ দেশে অন্ধকার নেমে আসবে। অসহায়দের পাশে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল হিমালয় পর্বতের মতো প্রাচীর হয়ে থাকবে। কোনো দুষ্কৃতিকারী, অপরাধী আর যেন গ্রামে গ্রামে পরিবারে পরিবারে হামলা, গুলি ও আগুন দিতে না পারে সেটাই আমাদের দেখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, লুটপাট চালিয়ে অর্থ পাচার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা এখন ষড়যন্ত্রের জাল বুনছেন, যেন দেশে কোনো নির্বাচন না হতে পারে।
এর আগে অগ্নিদগ্ধ বিএনপি নেতাকে দেখতে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ছুটে যান রিজভী। পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পূনর্বাসনে চার লাখ টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। পরে নিহত শিশুর কবর জেয়ারত ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট হাসিবুর রহমান, হ্যাপি চৌধুরী প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপি নেতা বেলাল হোসেনের ঘরে তালা লাগিয়ে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করে দূর্বত্তরা। এ সময় বেলালের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে আয়েশা আক্তার মারা যায়। বেলালও তার আরও দুই মেয়ে স্মৃতি ও বিথী অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে এখনো। এই ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি থানায়। ঘটনার রহস্যও উদঘাটন হয়নি।
