নড়াইলের সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান ফ্যাসিস্ট খাইরুজ্জামান খায়েরের নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসী বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে এবং নিজ বাড়িতে ফিরতে পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে আবেদন করেছেন মো. ফেরদৌস শেখ নামে একজন।  ২১ ডিসেম্বর দুপুরে এ আবেদনের পর ওই এলাকায় বেশ আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।

আবেদনে ফেরদৌস শেখ উল্লেখ করেন, তিনি নড়াইল সদর উপজেলার ৯নং সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বড়কুলা গ্রামের বাসিন্দা। আগে তারাপুর গ্রামে বসবাস করলেও খাইরুজ্জামান খায়ের ও তার সহযোগীদের বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানানোর পর তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য করা হয়। পরবর্তীতে বড়কুলা গ্রামে এসে তার চাচাতো ভাই মো. সজল শেখকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় নড়াইল সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ফেরদৌসের অভিযোগ, মামলার পর আসামিরা আরও বেপরোয়া হয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর, গবাদিপশু, ঘেরের মাছ, নৌকা, মোটরসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নেয়। বর্তমানে ইরি মৌসুমে ধান রোপণ করতে গেলে সন্ত্রাসী বাহিনী এলাকায় ঢুকতে দিচ্ছে না। এতে  আরও ৮-১০টি পরিবার দীর্ঘ ৭-৮ মাস ধরে বাড়িছাড়া অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

তিনি আরও দাবি করেন, খাইরুজ্জামান খায়েরের বিরুদ্ধে নড়াইল সদর থানায় ১৫ থেকে ২০টি মামলা চলমান রয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে এলাকায় বসবাস ও কৃষিকাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে সাবেক চেয়ারম্যান খাইরুজ্জামান খায়ের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ৫ আগস্টের পর এলাকায় একাধিক সহিংস ঘটনা ঘটেছে, যা অন্য পক্ষের লোকজন করেছে। আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে। সুষ্ঠু তদন্ত হলে প্রকৃত ঘটনা বের হবে।

এসপি আল-মামুন শিকদার বলেন, অভিযোগটি আমার টেবিলে এখনো আসেনি। হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নড়াইল সদর থানার ওসি মো. ওলি মিয়া বলেন, তার কাছে এ বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।