ভেকু দিয়ে রাস্তা কেটে ফেললেন আ.লীগ নেতা
মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:২৪ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নেত্রকোনার মদন পৌরসভার নির্মাণাধীন রাস্তা কাটার অভিযোগ উঠেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুরুল হকের বিরুদ্ধে। সোমবার সকালে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ভেকু দিয়ে রাস্তাটি কাটা শুরু করেন তিনি।
এমন সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে রাস্তা কাটার কাজ বন্ধ করে দেন।
মঞ্জুরুল হক মদন পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। এর আগে মঞ্জুরুল হক নেত্রকোনা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ ও খালিয়াজুরী) আসনে একাধিকবার নৌকার মনোনয়ন চেয়েও পাননি।
মদন পৌরসভা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ বছর আগে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের আওতায় ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কোর্ট ভবন এলাকায় প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করে মদন পৌরসভা। নির্মাণাধীন রাস্তা দিয়ে ওই এলাকার লোকজন দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াত করছেন। রাস্তা কাটা হলে ওই এলাকার লোকজন যাতায়াতসহ নানা ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হবেন।
স্থানীয়রা জানান, মঞ্জুরুল হক ৬ বার আওয়ামী লীগের এমপি হতে মনোনয়ন চেয়েও পাননি। রাস্তাটি নির্মাণ করার পর ওই এলাকায় তার মায়ের নামে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে একটি সাইন বোর্ডও ঝুলিয়ে ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে অনিচ্ছা প্রকাশ এবং নির্মাণাধীন রাস্তা কাটার চেষ্টা করেন। সোমবার নিজের প্রভাব খাটিয়ে রাস্তা কেটে ফেলেছেন। প্রশাসন যাতে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেন সেই বিষয়ে দাবি জানান স্থানীয়রা।
বিষয়টি স্থানীয় জনগণ ও আশপাশের জমির মালিকরা কর্তৃপক্ষকে অবগত করলেও তিনি রাস্তা কাটা বন্ধ করেননি।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুরুল হক জানান, রাস্তাটি আমার জমির ওপর দিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাই রাস্তাটি কাটা হচ্ছে। রাস্তার জায়গা শুধু আমি দিব না। অন্য জমির মালিকদেরও জায়গা দিতে হবে। উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে কাজটি বন্ধ রেখেছি।
মদন পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী জামিল হাসান বলেন, কোর্ট ভবন এলাকায় রাস্তাটি প্রায় ৫-৬ বছর আগে পৌরসভা নির্মাণ করে। নির্মাণাধীন রাস্তাটি কেটে ফেলার সংবাদ পাই। আমি গিয়ে রাস্তা কাটতে নিষেধ করার পরেও তারা শোনেনি। পরে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।
এ ব্যাপারে মদন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাওলিন নাহার জানান, ভেকু দিয়ে রাস্তা কাটছিল এমন সংবাদ পাই, পরে আমরা কাজটি বন্ধ করে দেই।
