তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুর সদর উপজেলায় ছাত্রদল ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার চৌরঙ্গী মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

জানা যায়, শহীদ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে জেলা শহরে মিছিল বের করেন এনসিপি নেতাকর্মীরা। মিছিলটি চৌরঙ্গী এলাকায় এলে মোটরসাইকেল সাইড দেওয়াকে কেন্দ্র করে এক ছাত্রদল কর্মীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয় এনসিপি নেতাকর্মীদের। এ সময় ছাত্রদল কর্মীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ছাত্রদল কর্মীদের।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চৌরঙ্গী এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায় উভয়পক্ষ। সংঘর্ষ চলাকালে একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ককটেলের আঘাতে এ পর্যন্ত ছাত্রদলের ৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাশেদ খান মেনন। আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

আহতরা হলেন- ইসাহাক সরদার (৩৪), নাঈম ইসলাম (২৬), নিরব (১৯), আরমান দরজি (২৫) ও মোহাম্মদ আলী (৩২)। এর মধ্যে নাঈম ইসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনার পর জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কোনো নেতাকে না পাওয়ায় কারো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, এনসিপি নামধারী কিছু লোক ছাত্রদলের ওপর হামলা করেছে। এতে আমাদের ৫ জন আহত হয়েছেন। একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

পালং মডেল থানার ওসি শাহ আলম বলেন, মোটরসাইকেল একজনের গায়ে লাগলে, তা নিয়ে প্রথমে হাতাহাতি হয়। পরে এ বিষয়টি নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একটি গ্রুপ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।