নেত্রকোনার পূর্বধলায় অটোস্ট্যান্ডে যাত্রী ওঠানামা ও ভাড়া সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় জিহাদুল ইসলাম (৩২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। সোমবার বিকালে ওই উপজেলার চৌরাস্তা মোড়সংলগ্ন ইলাসপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জিহাদুল ইসলাম পূর্বধলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ইলাসপুর গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ট্রাকচালক ছিলেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চৌরাস্তা অটোস্ট্যান্ডে জারিয়াগামী দুটি অটোর যাত্রী ওঠানোকে কেন্দ্র করে স্থানীয় অটোচালক নিজাম উদ্দিন বাধা দেন। এ নিয়ে দুই অটোচালকের মধ্যে প্রথমে বাগবিতণ্ডা ও পরে মারধরের ঘটনা ঘটে। আহত এক অটোচালক স্থানীয় জিহাদুল ইসলামের পূর্বপরিচিত হওয়ায় মারধরের বিষয়টি তাকে জানান।

এরপর জিহাদুল ইসলাম ওই ঘটনার প্রতিবাদ করলে নিজাম উদ্দিনের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা পরিস্থিতি শান্ত করে উভয়পক্ষকে নিজ নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

কিন্তু কিছুক্ষণ পর নিজাম উদ্দিন ও তার ভাই শাহাবুদ্দিন পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে জিহাদুল ইসলামের ওপর হামলা চালায়। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে শাবলের আঘাতে জিহাদুল ইসলাম গুরুতর আহত হন।

স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহেল রানা প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পূর্বধলা থানার ওসি মো. দিদারুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলমান।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সজল কুমার সরকার বলেন, অটোর যাত্রী ওঠানামা ও ভাড়া নিয়ে তর্ক-বিতর্কের সূত্র ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পক্ষগুলোর মধ্যে জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ববিরোধও ছিল। হামলার সময় মাথায় আঘাত পাওয়ায় জিহাদুলের মৃত্যু হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি দোকান ও একটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে।