পতিতাবৃত্তির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বহিষ্কার, যা বললেন জামায়াত নেতা
যুগান্তর প্রতিবেদন, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী)
প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৫৯ পিএম
কুয়াকাটা পৌর জামায়াতের সংবাদ সম্মেলন ও বহিষ্কার হওয়া জামায়াত নেতা আ. হালিম। ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় নিজ বাড়িতে পতিতাদের আশ্রয় দেওয়া এবং এ কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে কুয়াকাটা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি মো. আ. হালিমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত ২১ ডিসেম্বর কুয়াকাটা জামায়াতের বিশেষ (রুকন) বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুয়াকাটা পৌর জামায়াতের আমির মাওলানা মো. শহীদুল ইসলাম।
তিনি জানান, বৈঠকে কুয়াকাটা পৌর জামায়াত ও কলাপাড়া উপজেলা জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় নেতারা (রুকন) উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশেষ রুকন বৈঠক আহ্বান করা হয়। বৈঠকে উত্থাপিত অভিযোগ ও প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বিষয়টি জামায়াতে ইসলামীর নীতিমালা ও আদর্শের পরিপন্থি। সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ও আদর্শ রক্ষার স্বার্থে অভিযুক্ত নেতাকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- কুয়াকাটা পৌর জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা মোহাম্মদ মাঈনুল ইসলাম মন্নান, লতাচাপলী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির রাসেল মুসুল্লি, পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আল আমিন মৃধা, যুব জামায়াতের সভাপতি হেমায়েত উদ্দিন সিকদার এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সেক্রেটারি শাহাবুদ্দিন ফরাজি।
এ সময় কুয়াকাটা পৌর জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা মোহাম্মদ মাঈনুল ইসলাম মন্নান বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শভিত্তিক সংগঠন। এখানে ব্যক্তির চেয়ে সংগঠনের আদর্শ ও নৈতিকতা গুরুত্বপূর্ণ। কোনো নেতার বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠলে তা দলীয়ভাবে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হয়। সংগঠনের সুনাম ও আদর্শ রক্ষার স্বার্থেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম বলেন, একটি অভিযোগের ভিত্তিতে বিশেষ রুকন বৈঠক ডেকে কুয়াকাটা পৌর ৫ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতিকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী করতে হলে অবশ্যই সাংগঠনিক নিয়ম-কানুন ও দলীয় নীতিমালা মেনে চলতে হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত জামায়াত নেতারা আরও জানান, ভবিষ্যতে সংগঠনের আদর্শ ও নৈতিকতার পরিপন্থি যেকোনো কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী কঠোর অবস্থানে থাকবে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো. আ. হালিম বলেন, তার বাসায় ছয়টি পরিবার ভাড়ায় বসবাস করে। এর মধ্যে একটি বাসায় মা-মেয়ে পরিচয়ে চার নারী প্রায় দুই মাস আগে ভাড়া নেন। তারা কোথায় কী কাজ করেন, তা আমার জানা ছিল না।
এ বিষয়ে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করে আ. হালিম বলেন, বিষয়টি নিয়ে শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করবো।

-6947767758c6f.jpg)