Logo
Logo
×

সারাদেশ

১০ ঘণ্টা নদীতে আটকা, অতঃপর...

Icon

হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৩ পিএম

১০ ঘণ্টা নদীতে আটকা, অতঃপর...

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় ইঞ্জিন বিকল হয়ে নদীতে আটকে পড়া যাত্রীসহ একটি ট্রলার উদ্ধার করেছে নৌপুলিশ। ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করলে বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বদনার চরের অদূরে প্রায় ১০ ঘণ্টা পর ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়।

নৌপুলিশ সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ায় সেটি নদীর চরে আটকে পড়ে। ভাটার কারণে নদীর পানি কমে গেলে ট্রলারটি পুরোপুরি চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়ে। ট্রলারে থাকা যাত্রীদের মধ্যে এক নারী, চার শিশু ও দুইজন পুরুষ ছিলেন, যা পরিস্থিতিকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে।

পরিস্থিতি বেগতিক দেখে যাত্রীদের পক্ষ থেকে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে সহায়তা চাওয়া হয়। খবর পেয়ে নৌ-পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি নজরে নেয়। তবে ভাটার কারণে রাতে উদ্ধার অভিযান চালানো সম্ভব না হওয়ায় জোয়ারের অপেক্ষা করতে হয়।

উদ্ধার হওয়া জেলে পরিবারের প্রধান মো. রাজিব উদ্দিন জানান, তিনি হাতিয়া উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের চরবগুলা গ্রামের বাসিন্দা। তার শ্বশুরবাড়ি ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলায়। মঙ্গলবার বিকালে স্ত্রী, সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটি ছোট ট্রলারে করে লালমোহন থেকে হাতিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।

তিনি বলেন, সন্ধ্যার একটু আগে ট্রলারটি হাতিয়ার বদনার চরের কাছাকাছি পৌঁছালে হঠাৎ ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ভাটার কারণে নদীর পানি শুকিয়ে গেলে আমরা চরে আটকে পড়ি। রাত হয়ে যাওয়ায় কোনো ট্রলার বা নৌযান পাওয়া যায়নি। সঙ্গে ছোট ছোট শিশু ও নারী থাকায় খুব ভয় পাচ্ছিলাম। পরে বাধ্য হয়ে ৯৯৯-এ ফোন করি।

রাজিব উদ্দিন আরও জানান, নৌপুলিশ তাদের আশ্বস্ত করে জোয়ার আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলে। ভোরের দিকে জোয়ার শুরু হলে নৌপুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিরাপদে তাদের তীরে নিয়ে আসে। বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে পরিবারটি রক্ষা পেয়েছে বলে তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে নলচিরা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ অমিত সাহা বলেন, রাতে ৯৯৯ নাম্বার থেকে একটি পরিবারের নদীতে আটকে পড়ার খবর পাই। ভাটার কারণে তাৎক্ষণিক উদ্ধার সম্ভব ছিল না। পরে জোয়ারের সময় নৌ-পুলিশের একটি টিম গিয়ে ট্রলারসহ সাতজনকে নিরাপদে উদ্ধার করে।

তিনি আরও জানান, উদ্ধার হওয়া চার শিশুসহ সবাই হাতিয়া উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের চরবগুলা গ্রামের বাসিন্দা।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম