জেলের জালে ধরা পড়ল ২ মণ ওজনের ফ্লাইং ফিশ
যুগান্তর প্রতিবেদন, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী)
প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫০ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে জেলের জালে ধরা পড়েছে প্রায় ৮০ কেজি (২ মণ) ওজনের একটি বিরল প্রজাতির পাখি মাছ (ফ্লাইং ফিশ); যা স্থানীয়ভাবে গোলপাতা মাছ নামেও পরিচিত।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকালে মাছটি কুয়াকাটা সংলগ্ন মহিপুর মৎস্য মার্কেটে বিক্রির জন্য আনা হলে একনজর দেখতে ভিড় করেন উৎসুক জনতা।
এর গত তিনদিন আগে গভীর বঙ্গোপসাগরে এফবি নূরজাহান নামের একটি ফিশিং ট্রলারের জালে মাছটি ধরা পড়ে। বিশালাকৃতির পাখনা থাকার কারণে স্থানীয়দের কাছে মাছটি পাখি মাছ নামে পরিচিত।
মৎস্য আড়তদার ও জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপকূলীয় এলাকায় এ মাছের চাহিদা তুলনামূলক কম থাকায় দামও বেশি ওঠে না।
খোলা বাজারে উন্মুক্ত নিলামে মাছটি ৯ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। মুন্নী ফিসের স্বত্বাধিকারী জাহিদুল ইসলাম রাজীব ১১২ টাকা কেজি দরে মাছটি কিনে নেন। তিনি জানান, বাড়তি দামে বিক্রির আশায় মাছটি ঢাকায় পাঠানো হবে।
মাছটি ধরার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জেলে কামাল মাঝি বলেন, জাল টানার সময় অন্যান্য মাছের সঙ্গে এই পাখি মাছটি উঠে আসে। কিন্তু চাহিদা কম থাকায় দামও কম পেয়েছি।
মাছ ব্যবসায়ী রফিক জানান, পাখি মাছ সচরাচর পাওয়া যায় না। এ মাছ বিদেশে রপ্তানিযোগ্য এবং দেশের রেস্টুরেন্টগুলোতে এর চাহিদা রয়েছে।
ইকোফিশ-বাংলাদেশের গবেষণা সহকারী বখতিয়ার রহমান বলেন, সেইল ফিশ বিশ্বের দ্রুতগতির সামুদ্রিক প্রাণীদের একটি। এটি ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে। নৌকার পালের মতো পাখনার কারণে একে সেইল ফিশ বলা হয়। শিকারের সময় এ মাছ রং পরিবর্তন করতেও সক্ষম।
কলাপাড়া উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, পাখি মাছ মূলত গভীর সমুদ্রের মাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম সেইল ফিশ। স্থানীয় জেলেরা একে পাখি মাছ বলে জানে। এ মাছ অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ।
