হাতিয়ায় দুপক্ষের সংঘর্ষে ৫ জন নিহতের ঘটনায় মামলা
হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৪ পিএম
ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরকিং ও সুখচর ইউনিয়ন সংলগ্ন মেঘনা নদীর জাগলারচরে জমি দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে পাঁচজন নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে নিহত মোবারক হোসেন শিহাবের চাচা এবং নিখোঁজ শামছুদ্দিনের ভাই আবুল বাশার বাদী হয়ে হাতিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ৩০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আবুল বাশার জানান, নিহত ভাতিজার ময়নাতদন্ত ও দাফনকার্য সম্পন্ন করতে দেরি হওয়ায় মামলা দায়েরে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূলহোতাদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
নিখোঁজ শামছুদ্দিনের স্ত্রী ও নিহত শিহাবের মা মাহফুজা বেগম অভিযোগ করে বলেন, মনির মেম্বারসহ কয়েকজন আমার স্বামীকে জাগলারচরে জমি দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়। পরদিন খবর পেয়ে আমার ছেলে শিহাব তার বাবাকে ফিরিয়ে আনতে চরে যায়। কিন্তু সেখানে আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আমি ছেলের লাশ পেলেও স্বামীর কোনো খোঁজ পাইনি। এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই।
নিহত মোবারক হোসেন শিহাব সুবর্ণচর উপজেলার সৈকত সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে জাগলারচরের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে আলাউদ্দিন বাহিনী ও শামছু বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং ৭ থেকে ৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে শামছু বাহিনীর প্রধান শামছুসহ আরও দুইজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
হাতিয়া থানার ওসি সাইফুল আলম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহত পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার ও নিখোঁজদের উদ্ধারে পুলিশের অভিযান চলছে।
