ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
চট্টগ্রামে যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও মর্যাদায় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের উৎসব শুভ বড়দিন উদযাপিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে ছিল উৎসবের আমেজ। দিনভর গির্জা, ধর্মীয় উপাসনালয় ও বাসাবাড়িতে প্রার্থনাসহ নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বড়দিন উপলক্ষ্যে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও জেলা পুলিশ। নগরীর ১৬টি থানা এবং জেলার ১৫টি থানার আওতাভুক্ত বিভিন্ন গির্জায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। গির্জা এলাকায় চেকপোস্ট বসানোর পাশাপাশি টহল জোরদার করা হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় নগরীর পাথরঘাটা রাণী জপমালা গির্জায় ইংরেজিতে মহা খ্রিস্টযাগ অনুষ্ঠিত হয়। একই গির্জায় মধ্যরাত ১২টায় বাংলায় খ্রিস্টযাগ অনুষ্ঠিত হয়। সম্মিলিত প্রার্থনায় পৌরহিত্য করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন আর্চবিশপ লরেন্স সুব্রত হাওলাদার।
পাথরঘাটা গির্জায় বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় আরেক দফা বাংলায় খ্রিস্টযাগ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সন্ধ্যায় গির্জা প্রাঙ্গনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কেক কাটা ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার নাগরিকদের উপস্থিতিতে সর্বধর্মীয় সম্মিলন হয়।
লরেন্স সুব্রত হাওলাদার বলেন, আমাদের এই দেশ যেন শান্তিতে থাকে। আমরা যেন সবাই একে অন্যের মাঝে শান্তি ছড়িয়ে দিতে পারি, এটাই প্রার্থনা। প্রভু যিশু এই পৃথিবীতে এসেছেন শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য, ভালোবাসার জন্য। এই ভালোবাসা যেন আমরা একে অন্যকে দেখাতে পারি।
মুক্তিদাতা যীশুর মুক্তির বারতা নিয়ে ধরায় আগমনের দিনটিকে ঘিরে চট্টগ্রামে গির্জার পাশাপাশি খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ঘরে-ঘরে যথারীতি উৎসবের আমেজ শুরু হয়। হোটেল-রেস্তোঁরায়ও উৎসবের ছোঁয়া। যীশুর গোয়াল ঘর, ক্রিসমাস ট্রি, ক্রিসমাস বল, ঢোল, নানা রঙের পুতুল-বড়দিনের সাজ ঘরে ঘরে। হোটেল-রেস্তোঁরায় বাহারি খাবারের অফার, শিশুদের কেক কাটাসহ নানা আনন্দ আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়।
