দুই লঞ্চের সংঘর্ষে নিহত চারজনের লাশ শনাক্ত, আটক ৪
চরফ্যাশন ও ভোলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৭ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ভোলার দুলারহাট থানার ঘোষেরহাট এলাকা থেকে ছেড়ে আসা এমভি জাকির সম্রাট–৩ লঞ্চের সঙ্গে অ্যাডভেঞ্চার–৯ এর সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত ৪ যাত্রীর লাশ শনাক্ত করেছে পুলিশ। এছাড়া ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সদরঘাট নৌ থানার ইনচার্জ সোহাগ রানা জানান, সংঘর্ষে ৪ জনের লাশ পাওয়া গেছে।
নিহতরা হলেন- ভোলার লালমোহন উপজেলার আব্দুল গনি (৩৮), মো. সাজু (৪৫), রিনা (৩৫) ও চরফ্যাশন উপজেলার হানিফ মাঝি (৬০)।
আহতরা হলেন- মো. শাহাদত, মোহাম্মদ মিনা (৪৫) ও মোছা রহিমা (৪৫)। তারাও চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা।
যাত্রীরা জানান, ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ঘোষেরহাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া এমভি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চটি রাত ২টার পর চাঁদপুরের মতলব উপজেলার হরিণাঘাটা অতিক্রম করছিল। এ সময় ঘন কুয়াশা থাকায় ঢাকা থেকে বিএনপির সম্মেলনের যাত্রী নিয়ে যাওয়া বরিশালগামী এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটি সজোরে ধাক্কা দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও যাত্রীদের বরাতে জানা যায়, ঘন কুয়াশার কারণে অ্যাডভেঞ্চার–৯ লঞ্চটি এমভি জাকির সম্রাট–৩ লঞ্চের মাঝ বরাবর সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে জাকির সম্রাট–৩ লঞ্চটির দ্বিতীয়তলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
চাঁদপুরে বিআইডব্লিউটিএর পরিদর্শক আব্দুল মান্নান জানান, দুর্ঘটনার পর গভীর রাতে জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চটি নিহত এবং গুরুতর আহত অর্ধশতাধিক যাত্রীকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনালে ভেড়ানোর চেষ্টা করলে যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে তারা লঞ্চে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে লঞ্চের মাস্টার আহত যাত্রীদের নিয়ে ঢাকার দিকে রওনা দেন।
এদিকে ঝালকাঠি সদর থানার ওসি ইমতিয়াজ আহম্মেদ জানান, ঝালকাঠিগামী অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের সামনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝালকাঠি জেলা পুলিশ এবং নৌ পুলিশ লঞ্চঘাটে অ্যাডভেঞ্চার-৯ পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় লঞ্চটির ৪ কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
