Logo
Logo
×

সারাদেশ

যশোরে তীব্র শীতে নাকাল জনজীবন

Icon

যশোর ব্যুরো

প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৪৪ এএম

যশোরে তীব্র শীতে নাকাল জনজীবন

তীব্র শীতে নাকাল যশোরের জনজীবন।

তীব্র শীতে নাকাল যশোরের জনজীবন। টানা দুই দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ার পর রোববার তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও সারাদিন যশোরে সূর্যের দেখা মেলেনি। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সকাল থেকে ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় জবুথবু অবস্থা। সকালে মেঘলা আকাশে সূর্য উঁকি দেয়নি। চার দিন ধরে শৈত্যপ্রবাহে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষ।

যশোর বিমান বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। রোববার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে শনিবার ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও শুক্রবার ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়, যা সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল।

এদিকে, গত দুই দিনে সূর্যের দেখা না যাওয়ায় আগের দিনের তুলনায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে বলে শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষরা দাবি করেছেন। তীব্র শীতে দিনমজুর, কৃষিশ্রমিকসহ খেটে খাওয়া মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। ভোর থেকেই জেলার আকাশ ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন ও মেঘে ঢাকা। প্রচণ্ড ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ ও শ্রমজীবীরা। বিশেষ করে ভোর থেকে কাজে বের হওয়া দিনমজুর, ভ্যানচালক ও শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন।

প্রচণ্ড শীতের কারণে মানুষের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে। মোটা জ্যাকেট ও মাফলারে ঢেকে মানুষজনকে জবুথবু হয়ে পথ চলতে দেখা যায়। হাড়কাঁপানো শীতে ঘর থেকে বের হননি অনেকে। তবে ঘর থেকে বের হলেও কাজ মিলছে না শ্রমজীবী মানুষের।
হোটেল শ্রমিক গোলাম মোর্তজা বলেন, চার-পাঁচ দিন ধরে খুব শীত পড়ছে। কষ্ট হলেও ভোরে কাজে বের হতে হচ্ছে। কাজ না করলে সংসার চলবে না। বাধ্য হয়ে এত শীতেও বের হয়েছি।

রিকশাচালক হায়দার আলী বলেন, দুদিন সূর্যের দেখা যায়নি। ঠান্ডা বাতাসে শীতের কষ্ট বেড়ে গেছে। শীত ও কুয়াশার মধ্যে খুব প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। যাত্রী কম হওয়ায় আয় কমেছে। খুব কষ্টে দিন পার করছি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে এলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে এলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ, ৪ দশমিক ১ ডিগ্রি থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে এলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ এবং তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম