সোনাদিয়া সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত ঝুঁকিতে
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ০৯:০১ এএম
সেন্টমার্টিন। ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
পরিবেশগত দিক দিয়ে সোনাদিয়া, সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত চরম ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. সুলতান আহমদ।
মঙ্গলবার রাতে পর্যটন এলাকার একটি হোটেলের সম্মেলনকক্ষে পরিবেশ অধিদফতরের উদ্যোগে আয়োজিত ‘কক্সাজারের পরিবেশ ব্যবস্থাপনা’বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ড. সুলতান বলেন, ইসিএ (প্রতিবেশ সংকটাপন্ন) এলাকা হিসেবে বর্তমানে সেন্টমার্টিন, সোনাদিয়া ও সমুদ্রসৈকত পরিবেশগত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ জন্য মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে উন্নয়নকাজ করতে হবে। পাশাপাশি ফিরিয়ে আনতে হবে আগের হারানো পরিবেশ।
তিনি বলেন, পরিকল্পনা ছাড়া স্থাপনা গড়ে ওঠায় দূষণের কবলে পড়েছে কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল জোন। ৩২৫টি হোটেলের মধ্যে পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র নিয়েছে মাত্র ৪৬টি। স্যুয়েজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান (এসটিপি) বাস্তবায়ন করেছে মাত্র ৬টি হোটেল।
কক্সবাজারে প্রতিদিন কঠিন ও তরল বর্জ্য সৃষ্টি হয় ৫০-৭০ টন। ১২ টন বর্জ্য শোধানাগারের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু শোধানাগারে বর্জ্য আসে মাত্র ২ টন। এই তথ্য থেকে বোঝা যায়, কক্সবাজার পর্যটন শহরের পরিবেশ দূষণের ভয়াবহ অবস্থার দিকে দিন দিন যাচ্ছে।
সেমিনারের তথ্যে বলা হয়, দিন দিন পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। এর মধ্যে পানি ব্যবহারের চেয়ে অপচয় হয় বেশি। পাহাড় কাটার মাটি, হ্যাচারির বর্জ্য ও হোটেল-মোটেলের বর্জ্য সরাসরি যাচ্ছে সাগর ও নদীতে।
বাঁকখালী নদী ভরাট ও দখল হওয়ার কারণে শহরের লবণাক্ত পানি বেড়ে গেছে। এসব নানা দূষণের কারণে একসময় কক্সবাজারে পর্যটক আসা হ্রাস পাবে এবং স্থানীয়দের জন্যও বসবাস অনুপযোগী হয়ে পড়বে।
তবে কক্সবাজারের পরিবেশ সুরক্ষার সময় এখনও ফুরিয়ে যায়নি। দেরি করা যাবে না। দ্রুত উদ্যোগ নেয়া দরকার। এ জন্য সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করতে হবে।
সেমিনারে আরও বলা হয়, পরিবেশ অধিদফতরর তত্বাবধানে কক্সবাজারের কাছাকাছি খুরুশকুল ইউনিয়নে পরিবেশবান্ধব ২২৫ পরিবারের জন্য আবাসন ভবন তৈরি করবে বলে সেমিনারে জানানো হয়।
কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (মানবসম্পদ উন্নয়ন) এসএম সরওয়ার কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে আলোচনায় অংশ নেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি লে. কর্নেল আনোয়ারুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আদিবুল ইসলাম, পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক ও রিও প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ জিয়াউল হক, যুগ্ম পরিচালক মো. ফেরদৌস হোসেন খান, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরসহ পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
