মাশরাফির বিরুদ্ধে চিকিৎসকের স্ট্যাটাস নিয়ে নড়াইলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া
নড়াইল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০১৯, ০১:৪১ পিএম
নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতাল পরিদর্শনে মাশরাফি বিন মুর্তজা। ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে অনুপস্থিত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ায় তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে এক চিকিৎসক কটূক্তি করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মাশরাফি সম্পর্কে অশোভন মন্তব্য করেছেন ডা. অসিত মজুমদার নামে চিকিৎসক।
এর ফলে নড়াইলের স্থানীয় মাশরাফিভক্তদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
ফেসবুকে বিষয়টি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে।
ডা. অসিত মজুমদার ফেসবুকে লিখেছেন, মাশরাফিটা কে?
আমিনুল ইসলাম জুয়েল লিখেছেন, নড়াইলের কোনো পাতি নেতাটেতা হবে আর কি!
প্রতিউত্তরে ডা. অসিত পুনরায় লিখেছেন, সে রকমই তো ক্ষ্যাতের মত এটিচিউড করল। আমিনুল ইসলাম জুয়েল পুনরায় লিখেছেন, কিছু বুঝে নাকি? সেভেন এইট পাস মনে হয়।
এ বিষয়টি স্ক্রিনশটসহ ফেসবুকে পোস্ট করা হলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মাশরাফি ভক্তরা।
ফেসবুকে মঞ্জুর মোর্শেদ নামে একজন লিখেছেন, নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সফল ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। আপনারা তো শিক্ষিত মানুষ। একজন সর্ম্পকে না জেনে বাজে মন্তব্য করলেন। আপনারা কোন দেশের ডাক্তার যে মাশরাফিকে চেনেন না। মেধা থাকলে অবশ্যই চিনতেন ডাক্তার হতে হয়তো আপনাদের মা-বাবাদেরকে টাকা দিয়ে আগের রাতে উত্তরপত্র কিনতে হয়েছিল।
ফরহাদ আহম্মেদ নামে একজন লিখেছেন, সারা দিনরাত ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কমিশন, চেম্বারে বসা আবার কষ্ট করে হাসপাতালে গিয়ে হাজিরা খাতায় সই দেয়া, ফ্রি ওষুধ বিক্রি, ওষুধ কোম্পানির কথামতো (দরে পটলে) পেসক্রিপশনে তাদের ওষুধের নাম লেখা, ইত্যাদি। এতো কিছু করে মাশরাফিকে চেনার সময় কই।
মোস্তফা কামরুজ্জামান কামাল নামে আরেকজন লিখেছেন, এদের পুরো ঠিকানা দিয়ে সহযোগিতা করলে পুরস্কৃত করব...।
সৈয়দ সামিউল আলম জেহাদ লিখেছেন, মাশরাফি সমন্ধে কটূক্তিকারীরা সাবধান। মাশরাফির অপর নাম বাংলাদেশ। মাশরাফি আমাদের গর্ব। কটূক্তিকারীদের বিচার চাই।
মো. রানা লিখেছেন, এই দুই জানোয়ারকে টার্মিনালে এই আম গাছে ঝুলায়ে পিটাতে হবে। জানোয়ার আইডি পেয়ে নিই।
উল্লেখ্য, ২৫ এপ্রিল বিকালে আকস্মিকভাবে সদর হাসপাতাল পরিদর্শনে যান নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা। এ সময় কর্তব্যরত কয়েকজন চিকিৎসকের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর না দেখে তিনি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুস শাকুর এবং পরে অনুপস্থিত সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. আকরাম হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন।
বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের কাছ থেকে নানা ধরনের সমস্যার কথাও শোনেন মাশরাফি। তিনি এ সময় হাসপাতালের বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার চিত্র দেখতে পান।
পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতালের কর্মকর্তাদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা করেন। সভায় এমপি মাশরাফি বেশ কিছু বিষয়ে দিক নির্দেশনাও দেন।
এদিকে ওই হাসপাতালে দায়িত্বে অবহেলার কারণে চার চিকিৎসককে ওএসডি করা হয়েছে।
