Logo
Logo
×

সারাদেশ

সাত কলস গুপ্তধনের লোভে সর্বস্বান্ত ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষক!

Icon

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২১ জুন ২০১৯, ১১:৩০ এএম

সাত কলস গুপ্তধনের লোভে সর্বস্বান্ত ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষক!

‘জিনের বাদশা’র কাছ থেকে পাওয়া স্বর্ণের প্রলেপ দেয়া ধাতুর তৈরি মূর্তি

‘জিনের বাদশা’র খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত ঠাকুরগাঁওয়ের এক কৃষক। জেলার সদর উপজেলার উত্তর হরিহরপুর গ্রামের ওই কৃষক পরিবার জমি ও গরু বিক্রির আড়াই লাখ খুইয়ে এখন আর্তনাদ করছেন।

সাত কলস গুপ্তধন পাওয়ার লোভে আড়াই লাখ টাকা পাঠিয়ে দিয়েছেন কথিত জিনের বাদশার বিকাশ অ্যাকাউন্টে।

নিরাপত্তা ও প্রাণের ভয়ে প্রতারিত পরিবারটি আইনের আশ্রয় নেননি বলে জানান তারা।

পরিবারটি জানায়, নিজেকে জিনের বাদশাহ পরিচয় দেয়ার পর ওই প্রতারক প্রথমে তাদের সঠিকভাবে নামাজ আদায় করতে বলে। এরপর জানানো হয় তাদের ভাগ্যে স্বর্ণবোঝাই পাতিল আছে। কিছু নিয়ম মেনে চললে এসব পাওয়া যাবে। আর এতে তারা একবারে ধনী হয়ে যাবেন। বিনিময়ে প্রথমে মাদ্রাসা  মসজিদ তৈরির জন্য কিছু টাকা বিকাশ করতে বলে।

গত ১৬ মে রাত ১২টার দিকে এক প্রতারক কণ্ঠ বিকৃত করে সদর উপজেলার রহিমান পুর ইউনিয়নের উত্তর হরিহরপুর গ্রামে দরিদ্র কৃষক মো. বাবুর  মোবাইলে ফোন দেয়।

প্রতারক ফোনে চক্র বলে, বগুড়ার শাহ সুলতান মাজারে গুপ্তধন আছে।  এই গুপ্তধন পাইতে গেলে মাদ্রাসা ও মসজিদ তৈরি করতে হবে। এর নাম করে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি।

এর কয়েদিন পর কথিত জিনের বাদশা আরও টাকা দাবি করে। টাকা দিলে প্রতারিত পরিবারটি সাত কলস গুপ্তধন ও একটি সোনার মূর্তি পাওয়ার আশ্বাস দেন। এভাবে ২২ মে আরও ২ লাখ হাতিয়ে নেয়।

পর দিন রাতে ঠাকুরগাঁও শহরের বাস টার্মিনালঘেষা আদর্শ কোলোনি সড়কে  একটি নিদিষ্ট স্থানে স্বর্ণের আবরণে একটি পুতুল কৃষক পরিবারটিকে নিয়ে যেতে বলে প্রতারক চক্রটি। পুতুলটি ওই স্থান থেকে তুলে নিয়ে প্রথমে খুশি হলেও পরে দেখে এটি অন্য কোনো ধাতুর তৈরি মূর্তি।

এরপর থেকে জিনের বাদশার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। তবুও সন্দেহ মেটাতে পুতুলটি স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের কাছে পরীক্ষা করে জানতে পারেন ওটা অন্য কোনো ধাতুর ওপর স্বর্ণের প্রলেপ দেয়া।

সদর থানার ওসি আশিকুর রহমান জানান, বিষয়টি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঠাকুরগাঁও

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম