টেঁটাযুদ্ধ বন্ধে পুলিশের অভিযানে ১৪০ টেঁটা- ৬২ বোমা উদ্ধার
নরসিংদী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০১৯, ০৪:২৬ পিএম
অভিযান চালিয়ে ১৪০টি টেঁটা উদ্ধার
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
টেঁটা এখন আর মাছ ধরার হাতিয়ার নয়। মানুষের প্রাণ নিতে এখন টেঁটা ব্যবহার হচ্ছে।
নরসিংদীর মেঘনা নদীবেষ্টিত চরাঞ্চলে দিন দিন টেঁটার ব্যবহার বেড়ে যাচ্ছে। তাই জেলার চরাঞ্চলে টেঁটাযুদ্ধ বন্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে পুলিশ।
এ সময় ৬২টি তাজা বোমা, ১৪০টি টেঁটা ও ৫টি রাম দা উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে শহর পুলিশ ফাঁড়িতে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নরসিংদী পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সোমবার রমন গ্রুপের জাকির ও কাছম আলী গ্রুপের হাসানের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া হয়। এ সময় ১০ থেকে ১৫টি বাড়িঘরে ভাংচুর চালানো হয়।
এরই জের ধরে টেঁটা, বল্লম, ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার প্রস্তুতি নেয়। খবর পেয়ে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেদ আহাম্মেদ ও সদর থানার ওসি সৈয়দুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সদরের চরাঞ্চল খোদাদিলা গ্রামে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় আলাউদ্দিনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৬২টি তাজা বোমা, ১৪০টি টেঁটা ও ৫টি রামদা উদ্ধার করেন। পরে ঢাকা থেকে বোমা ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা এসে বোমাগুলো নিস্ক্রিয় করেন।
এসপি প্রলয় কুমার জোয়ারদার আরও বলেন,আইন-শৃংখলা বিনষ্টকারী অস্ত্রবাজ, টেঁটাবাজ, বোমাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পুলিশের জিরো টলারেন্স অবস্থান। যে ব্যক্তি নিষিদ্ধ এই সব জিনিসপত্র বহন করবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) জাকির হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শফিউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়াটার) বেলাল হোসেন, সদর সার্কেল সাহেদ আহাম্মেদ, সদর থানার ওসি সৈয়দুজ্জামান, পরিদর্শক (তদন্ত) সালাউদ্দিন মিয়াসহ পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
