ঘোড়ারগাড়িতে চড়ে মুড়িকাটা পেঁয়াজ যায় হাটে!
হেলাল মাহমুদ, রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২০, ০৮:৩৯ এএম
মাঠ থেকে কৃষকরা ঘোড়াগাড়িতে করে পেঁয়াজ নিয়ে যাচ্ছে। ছবিটি চররামনগর থেকে তোলা- যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
পেঁয়াজ চাষের জন্য বিখ্যাত রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় এবার মুড়িকাটা পেঁয়াজের ভালো ফলন হয়েছে। পাশাপাশি দামও ভালো পেয়ে পেঁয়াজ চাষীদের মুখে হাসি ফুটেছে।
মুড়িকাটা পেঁয়াজ তুলে মাঠেই বস্তায় ভরছে কৃষক। আবার অনেকে ঘোড়ারগাড়িতে বোঝাই করে পাতাসহ পেঁয়াজ নিয়ে যাচ্ছে হাটে।
কৃষকরা জানিয়েছেন, পেঁয়াজ চাষ করে তাদের বিঘা প্রতি ৫০ হাজার টাকারও বেশী লাভ হয়েছে।
সরেজমিনে পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের চররামনগর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কৃষকরা ক্ষেত থেকে মুড়িকাটা পেঁয়াজ তুলে মাঠ বসেই বস্তায় ভরছে। আবার অনেকে ঘোড়ারগাড়িতে বোঝাই করে পাতাসহ পেঁয়াজ নিয়ে যাচ্ছে।
মো. শহীদ নামে স্থানীয় এক কৃষক বলেন, ক্ষেত থেকেই পাইকাররা ১২০/১৩০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনে নিয়ে যাচ্ছে। তারা এই পেঁয়াজ ঢাকায় পাঠাচ্ছেন। এবার আমি দুই বিঘা জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ করেছিলাম। সব খরচ বাদ দিয়ে এক লাখ টাকার বেশী লাভ হয়েছে।
অথচ গত বছর এক বিঘা জমিতে এই পেঁয়াজের আবাদ করে ৫০ হাজার টাকা লোকসান হয়েছিল। তা সত্ত্বেও আমি হাল না ছেড়ে এবারও মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষ করে লাভবান হয়েছি।
পাংশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার বলেন,পাংশা উপজেলায় এবার সাড়ে তিনশত হেক্টর আবাদী জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের চাষ হয়েছে,তার মধ্যে অর্ধেকের বেশি পেঁয়াজ মাঠ থেকে উঠানো হয়েছে, বাকি পেঁয়াজ মাঠে আছে রয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ছোট পেঁয়াজ থেকে যে পেঁয়াজ হয় তাকে মুড়িকাটা পেঁয়াজ বলে। বড় আকৃতির এ পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যায় না।
