শ্রীপুরে প্রকাশ্যে নিরাপত্তা প্রহরীকে মেরে ৫ লাখ টাকার বরই লুট
শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৪:০০ পিএম
বড়ই বাগান
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
গাজীপুরে শ্রীপুরে প্রজেক্টের উন্নয়ন (মাটি, বালি, ইট) কাজ না দেয়ায় একটি কৃষি খামারের ৭০টি গাছের পাকা বরই দিনে-দুপুরে লুটে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ সময় বাধা দেয়ায় দুই নিরাপত্তা প্রহরীকে পিটিয়ে আহত করা হয়।
রোববার দুপুরে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উত্তর পেলাইদ গ্রামের কৃষক বিল্লাল হোসেনের জমিতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় কৃষক বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে একই গ্রামের ৮ জনকে অভিযুক্ত করে রোববার সন্ধ্যায় শ্রীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আহত নিরাপত্তা প্রহরী আবদুল হামিদ ও আফতাব আলী শেখকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
অভিযুক্তরা হল একই এলাকার বিল্লাল হোসেনের (৪১) আমির হোসেন (৪৫), মাসুদ মিয়া (৩৫), নুর ইসলাম (৩৮), ইউসুফ (৪০), শামিম মিয়া (৩২), আসন আলী (৬০) ও ইব্রাহিম মিয়া (৩৭)।
কৃষক বিল্লাল হোসেন বেপারী জানান, কিছু জমি ক্রয় ও ঢাকার এক ব্যবসায়ী শাহ আলমের কাছ থেকে জমি ভাড়া করে ৩০ বিঘা জমির উপর ৭০টি বরই গাছসহ বিভিন্ন ফলদ ও বনজ গাছ রোপণ করেছিলেন। রোপণকৃত গাছে প্রচুর বরই এসেছিল। আর কয়েকদিন পর পাকা বরই বিক্রি করার কথা ছিল।
তিনি বলেন, অভিযুক্তরা গত কিছুদিন যাবৎ আমার কাছে টাকা দাবি করে আসছে। টাকা না দিলে তাদের প্রজেক্টের উন্নয়ন (মাটি, বালি, ইট) কাজ দেয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে। আমি তাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে তারা ক্ষিপ্ত হয়। পরে রোববার দুপুরে আয়াতউল্লার ছেলে বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন লোক দা-লাঠি, লোহার রড নিয়ে তার প্রজেক্টে প্রবেশ করে। তারা প্রজেক্টের প্রধান ফটক ভাঙচুর ও সীমানা পিলারের ওপরে কাঁটা তার হাতে থাকা প্লাস দিয়ে কেটে ফেলে।
পরে প্রজেক্টের ভিতর তাণ্ডব চালিয়ে ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে রোপণকৃত বিভিন্ন ফলদ ও বনজ গাছের চারা কেটে ফেলে। এতে ওই কৃষকের ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। এ সময় তারা ৭০টি গাছের পাকা বরই বস্তায় ভরে নিয়ে যায়।
কৃষক বিল্লাল হোসেন বেপারী জানান, তাদের বাঁধা দেয়ায় নিরাপত্তা প্রহরী আবদুল হামিদ ও আফতাব আলী শেখকে পিটিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। তাদের তাণ্ডবে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিতে ভয় পাচ্ছিল। তারা চলে যাওয়ার পর খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
শ্রীপুর থানার এসআই রাজীব কুমার সাহা জানান, ঘটনাস্থল পরির্দশন করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
শ্রীপুর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, এ ঘটনায় রোববার রাতে মামলা নেয়া হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
