Logo
Logo
×

সারাদেশ

ডিগ্রি না নিয়েও হেলাল নামকরা ডেন্টিস্ট!

Icon

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৪:৪৭ পিএম

ডিগ্রি না নিয়েও হেলাল নামকরা ডেন্টিস্ট!

হেলাল উদ্দীনের কাগজপত্র দেখছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক

হেলাল উদ্দীন। পেশায় একজন দন্ত ও মুখ গহ্বর চিকিৎসক। রয়েছে তার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সুসজ্জিত চেম্বার। ওই চেম্বারে আছে দামি ডেন্টাল ইউনিট।

চেম্বারে দামি আসবাবপত্রসহ সবই আছে। তবে নেই শুধু তার অনুমোদিত ডিগ্রি। পড়াশোনার দৌড় সর্বোচ্চ উচ্চ মাধ্যমিক হলেও তার নামের আগে ডাক্তার এবং নামের পরে নানা ‘ডিগ্রি’ লিখেন।

প্রকৃতপক্ষে নামের শেষে লেখা কোনোটিই ডিগ্রি নয়। কিন্তু এগুলো দেখে সাধারণ মানুষ তাকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলে মনে করলেও বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটির (বিডিএস) সরবরাহ করা তালিকা অনুযায়ী তিনি একজন ‘হাতুড়ে দন্ত চিকিৎসক’।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ওই হাতুড়ে দন্ত চিকিৎসকের খবর পেয়ে হাটহাজারী উপজেলার ২নং ধলই ইউনিয়নের কাটিরহাট বাজারে তার প্রতিষ্ঠিত ‘জননী ডেন্টাল কেয়ার’ থেকে তাকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে পরিচালিত এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন হাটহাজারী উপজেলা অফিসার (ইউএনও) রুহুল আমিন।

এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত সত্যতা যাচাই করার জন্য তার কাছে প্রমাণ চাইলে তিনি দেখাতে পারেননি। তিনি আদালতকে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের এক বছরের কোর্সের একটা অ্যাডমিট কার্ড ধরিয়ে দেয়।

এভাবে ভুয়া ডিগ্রি নিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণার দায়ে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং চেম্বারটি বন্ধ করে মালামাল জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

হেলাল উপজেলার ধলই ইউনিয়নের কাটিরহাট এলাকার পূর্ব ধলই গ্রামের মো. আবদুল হামিদের পুত্র বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউএনও রুহুল আমিন যুগান্তরকে জানান, ভুয়া ডিগ্রি ব্যবহার করে দীর্ঘ ৩-৪ বছর ধরে ধলই ইউনিয়নের কাটিরহাট বাজারে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল নামধারী দন্ত চিকিৎসক হেলাল উদ্দীন। সম্প্রতি তার ভুল চিকিৎসার কারণে ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সপ্তাহখানের চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হতে হয়েছে।

তিনি জানান, ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান এবং তার চেম্বার বন্ধ করে দেয়া হয়।

চট্টগ্রাম

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম