হানিমুনে যাওয়ার টাকা যোগার করতেই মামাতো ভাইকে হত্যা!
গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২০, ০৪:৩০ পিএম
র্যাবের হাতে আটক মো. বনি আমিন
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মামীর সঙ্গে ক্ষোভ মেটাতে এবং প্রেমিকাকে দামি উপহার ও বিয়ের পর হানিমুনের টাকা জোগাতেই মাদ্রাসাছাত্র ইব্রাহিমকে (১০) খুন করেছে ফুফাতো ভাই মো. বনি আমিন (২১)।
বনি আমিন বরগুনা সদর থানার মাইঠা এলাকার মো. আবুল কালাম আজাদের ছেলে।
র্যাব-১ এর গাজীপুর পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের স্পেশালাইজড কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, মাদ্রাসাছাত্র ইব্রাহিমের বাবা মনির হোসেন, বনির আপন মামা। বনি রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকায় মামা মনির হোসেনের বাসায় থেকে নিউ মার্কেটে ক্রোকারিজের দোকান পরিচালনা করতো। সেখানে থাকাকালে একটি মেয়ের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
তিনি জানান, প্রেমিকাকে দামী উপহার এবং বিয়ের পর তাকে নিয়ে হানিমুনে যাওয়ার জন্য তার কাছে পর্যাপ্ত টাকা ছিল না। তাই টাকার প্রয়োজনে এবং মামীর ওপর দীর্ঘদিনের ক্ষোভের প্রতিশোধ নিতে ইব্রাহিমকে অপহরণের পরিকল্পনা করে বনি। ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী ৫ মার্চ ইব্রাহিমকে হাজারীবাগ মাদ্রাসা থেকে বাবার অসুস্থতার কথা বলে অপহরণ করে বনি।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, পরে গাজীপুর মহানগরের সালনা এলাকায় নিয়ে ওই ছাত্রের মাদ্রাসার ব্যাগ এবং আইডি কার্ড ফেলে ওই এলাকার মীরেরগাঁও রেল লাইনের পাশে শ্বাসরোধে হত্যা করে তার লাশ ফেলে যায়। পরে ইব্রাহিমের কণ্ঠ নকল করে তার বাবার মোবাইল ফোনে কল করে অপহরণের কথা জানায় এবং মুক্তিপণ হিসেবে ৫ লাখ টাকা দাবি করে বনি।
পরে বিকাশের মাধ্যমে ১ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তার উদ্দেশ্য সফল করে পুনরায় মামার বাসা হাজীবাগ ফিরে যায়। গত ৭ মার্চ মাদ্রাসাছাত্র ইব্রাহিমের লাশ উদ্ধারের সংবাদ পেয়ে খুনি তার মামার-মামীর সঙ্গে কান্নার অভিনয় করে। তাদের সাথে ঢাকা আজিমপুর কবরস্থানে লাশের জানাজাসহ দাফন কাজও সম্পন্ন করে। এ ব্যাপারে ঘটনার রাতে হাজারীবাগ থানায় একটি জিডি করেছে নিহতের বাবা মনির হোসেন।
র্যাব কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন আরও জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার ভোরে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. বনি আমিনকে গ্রেফতার করা হয়। র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত বনি আমিন ওই খুনের ঘটনার সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং ঘটনার বর্ণনা দেয়।
