জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি আব্দুল মাজেদের লাশ রাতের আঁধারে চুপিসারে কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে সোনারগাঁ উপজেলার হোসেনপুরে দাফন করায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনের সংসদ সদস্য, জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি লিয়াকত হোসেন খোকা। 

রোববার সকালে সাংবাদিকদের কাছে পাঠনো এক বিবৃতিতে তিনি এ নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। 

এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা তার বিবৃতিতে বলেন, খুনি মাজেদ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করার আত্মস্বীকৃত খুনি। 

জাতীয় ৪ নেতাকেও তিনি হত্যা করেছে। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার মাধ্যমে তিনি সমগ্র বাঙালী জাতিকে কলঙ্কিত করেছেন।  এ খুনির ফাঁসির আদেশ কার্যকর করার পর তার লাশ সোনারগাঁ উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের হোসেনপুর শ্বশুর বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে চুপিসারে দাফন করায় সোনারগাঁওবাসী কলঙ্কিত হয়েছেন।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, প্রাচীন বাংলার রাজধানী সোনারগাঁও। বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ সোনারগাঁও সুলতান গিয়াস উদ্দিন আজম শাহ্, ঐতিহাসিক পাঁচপীরের দরগাহ্, সুলতান দানেশ মান্দ, উপমহাদেশের প্রথম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শেখ শরফুদ্দিন আবু তাওয়ামাসহ (র.) অসংখ্য পীর আউলিয়াগণ শায়িত আছেন পবিত্র ভূমিতে। 

শুধুমাত্র দ্বিতীয় স্ত্রীর বাবার বাড়ির সূত্রে বাঙালী জাতির জনকের আত্মস্বীকৃত খুনি মাজেদের কলঙ্কিত লাশ সোনারগাঁয়ে দাফন করায় সোনারগাঁ উপজেলার মহাজোট ও জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দসহ সমগ্র সোনারগাঁবাসী কলঙ্কিত হয়েছে। 

সোনারগাঁওকে কলঙ্কমুক্ত করতে প্রয়োজনে খুনি মাজেদের লাশ কবর থেকে তুলে মেঘনা নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, খুনি মাজেদের জন্মস্থান ভোলার বোরহানউদ্দিন এলাকায়, তাই তার লাশ সেখানে নিয়ে দাফন হওয়ার কথা। 

সোনারগাঁয়ের কেউ এর সঙ্গে জড়িত থাকলে তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও শম্ভুপুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাতীয় পার্টির নেতা আব্দুর রউফ ও উপজেলা জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দও চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে খুনি মাজেদের লাশ অপসারণের দাবি জানিয়েছেন।