সিদ্ধিরগঞ্জে ১৬ লাখ টাকায় বুকিং দিয়েও নির্মাণ শেষে ফ্ল্যাট বাসাটি বুঝে না পাওয়ায় চাচার বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন পিতৃ-মাতৃহীন এতিম এক তরুণী। 

ভুক্তভোগী শিফা আক্তারের পক্ষে তার স্বামী সাকিবুল হাসান ন্যায় বিচারের আবেদন জানিয়ে ওই অভিযোগটি দায়ের করেছেন।  
 
পুলিশ সুপার বরাবর দায়ের করা আবেদনের সূত্রে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় নিমাইকাশারী এলাকার হাজী কালাচাঁন ভিলার মালিক শহিদুল ইসলাম শহিদের স্বাক্ষরিত প্যাডে ভাতিজি শিফা আক্তার দুই দফায় ১৬ লাখ টাকা নেন। 

এতে তিনি তার চাচার সঙ্গে হাজী কালাচাঁন ভিলার ৫ম তলার ১টি ফ্ল্যাট ক্রয়ের চুক্তিতে আবদ্ধ হন। ফ্ল্যাট রেজিষ্ট্রি করে দেয়ার শর্তে আরও ৪ লাখ টাকা নগদ প্রদান করা হয়। যা ওই প্যাডে উল্লেখ নেই।
 
অভিযোগে শিফা আক্তার উল্লেখ করেন, মো. শহিদুল ইসলাম সম্পর্কে আমার চাচা শ্বশুর ও উকিল বাবা। সেই সুবাদে সরল বিশ্বাসে তার কোম্পানির প্যাডে টাকাগুলো প্রদান করি। কিন্তু তিনি আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে আমার নামের ওই ফ্ল্যাটটি অন্যত্র বেশি দামে বিক্রি করে দেন। 

আমি আমার সহায় সম্পত্তি বিক্রি করে ওই ফ্ল্যাটটি ক্রয়ের জন্য তাকে টাকাগুলো প্রদান করেছি। ফ্ল্যাটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আমাকে এলাকাছাড়া করবেন বলে হুশিয়ারি দিয়ে প্রাণ নাশের হুমকি দেন।  

এতে আমি আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়ি। যেকোন সময় জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে আমাকে ফ্ল্যাট পাওয়া থেকে বঞ্চিত করতে পারেন শহিদুল। তাই আইনের স্মরণাপন্ন হয়ে ভুক্তভোগী  ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়েছি।
 
অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন, কিছুদিন ধরে আমাদের পারিবারিকভাবে মনমালিন্য চলছে। এর রেশ ধরেই আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে তারা। 

তাছাড়া ফ্লাট বিক্রির বিষয়ে কোন টাকা লেনদেন হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার স্বাক্ষরসহ টাকার হিসেব দেখিয়ে যে প্যাড দেখানো হয়েছে সেটাতে আমার স্বাক্ষর নেই। আমি সব সময় বাংলায় স্বাক্ষর করি। এতে যে ইংরেজি স্বাক্ষরটি আছে তা আমার না।