নাসিমকে ব্যঙ্গ করে পোস্ট দেয়া বেরোবির সেই শিক্ষকের রিমান্ডের আবেদন
বেরোবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২০, ০৬:৩১ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমকে কটূক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ায় অভিযোগে করা মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা একটি মামলায় তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।
অভিযুক্ত শিক্ষক সিরাজাম মুনিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রভাষক। ছাত্রজীবনে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের সহ সভাপতি ছিলেন।
এদিকে ওই শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শোকজ নোটিশ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নিয়োগ কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ সহকর্মীরাই। অনতিবিলম্বে তাকে স্থায়ী বহিষ্কার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন শিক্ষক ও ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
রংপুর মেট্রোপলিটন তাজহাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রবিউল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যু সংবাদের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সিরাজাম মুনিরা তাকে ব্যঙ্গ করে (যোগ্য নেতৃত্বে দেশ নাসিম্যা মুক্ত হল) লিখে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেয়। এই পোস্ট সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার সৃষ্টি করে এবং পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা একটি মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে ঐ শিক্ষককে রাতে গ্রেফতার করা হয়।
রবিউল ইসলাম বলেন, রোববার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। আগামীকাল ভার্চুয়াল কোর্টে সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে এ বিষয়ে শুনানি হবে।
শনিবার মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যু নিয়ে সিরাজাম মুনিরা ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে ব্যাঙ্গ করে স্ট্যাটাস দেন। কিছুক্ষণের পরেই তার দেয়া স্ট্যাটাসটি ডিলিট করেন এবং ক্ষমা চেয়ে আরেকটি স্ট্যাটাস দেন তিনি। কিন্তু এদিকে স্ট্যাটাস ডিলিট করলেও ওই শিক্ষকদের স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি তুষার কিবরিয়া অভিযোগ করে যুগান্তরকে বলেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আমি মামলার এজাহার রাত সাড়ে ১১টার দিকে থানায় জমা দিয়েছি। কিন্তু পুলিশ তার মামলা গ্রহণ না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়েছে।
তুষারের দাবি, ওই শিক্ষিকার নিয়োগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যার দায় থেকে বাঁচাতে পুলিশ প্রশাসনের মামলা নিয়েছে।
তাজহাট থানার চলতি দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) রবিউল ইসলাম বলেছেন, তুষার কিবরিয়ার এজাহারটি মূল এজাহারের সঙ্গে সম্পূরক হিসাবে রাখা হয়েছে।
তিনি জানান, একটি ঘটনায় দুটি মামলা হয় না।
এবিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. একে এম ফরিদ-উল ইসলাম অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে যুগান্তরকে বলেন, তার এমন কর্মকাণ্ডে পুরো শিক্ষক সমাজ আজ লজ্জিত।
