রাজশাহীতে যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যানের স্মরণে শোকসভা-দোয়া মাহফিল
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২০, ০২:১৮ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা বিশিষ্ট শিল্পপতি মরহুম নুরুল ইসলাম স্মরণে রাজশাহীতে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী মেট্রোপলিটন প্রেস ক্লাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
নাগরিক শোকসভায় বিশিষ্টজনরা শিল্পপতি ও মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের সংগ্রামী জীবনের বিভিন্ন দিকের প্রতি আলোকপাত করে তাকে ‘শিল্পযোদ্ধা’ হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করেন। শেষে তার রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল হয়।
গত ১৩ জুলাই বিশিষ্ট শিল্পপতি মুক্তিযোদ্ধা ও বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সবাইকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে চিরবিদায় নেন।
সাংবাদিক আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে শোকসভায় শিল্পপতি ও যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের সংগ্রামী জীবন ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তার বিশেষ অবদানের কথা তুলে ধরে বক্তব্য দেন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
শোকসভা পরিচালনা করেন দৈনিক যুগান্তরের রাজশাহী ব্যুরোর রিপোর্টার তানজিমুল হক।
শোকসভায় রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, বঙ্গবন্ধু যে কর্মমুখর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, শিল্পপতি নুরুল ইসলাম সেই স্বপ্ন পূরণের পথে হেঁটেছেন। তিনি বাংলাদেশের সব ব্যবসায়ীর কাছে চিরদিন আদর্শ হয়ে থাকবেন। তিনি সৎ ও একজন দেশপ্রেমিক মানুষ ছিলেন। এ কারণে দেশবাসী তাকে একজন আদর্শ ও সৎ মানুষ হিসেবে আজীবন মনে রাখবে।
রাসিকের প্যানেল মেয়র সরিফুল ইসলাম বাবু বলেন, নুরুল ইসলাম ছিলেন সাহসী যোদ্ধা। তিনি ছিলেন স্বপ্নদ্রষ্টা। তার ৪৪ বছরের কর্মজীবনে লাখো মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। এই শিল্পযোদ্ধাকে দেশের মানুষ আজীবন স্মরণ করবে।
যমুনা টেলিভিশনের রাজশাহী ব্যুরো প্রধান শিবলী নোমান বলেন, মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম খুব সাধারণ জীবনযাপন করতেন। তিনি বাংলাদেশের শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য ইতিবাচক উদাহরণ গড়ে তুলেছেন। তার দেখানো পথে চললে বাংলাদেশ অচিরেই অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশ হিসেবে সারা বিশ্বে আত্মপ্রকাশ করবে। এ ছাড়া তিনি যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ছিলেন মিডিয়াবান্ধব ব্যক্তিত্ব। তার এ অবদানের কথা সাংবাদিকরা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণে রাখবেন।
রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, নুরুল ইসলাম শুধু একজন শিল্প উদ্যোক্তাই ছিলেন না, তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। '৭৪ সালে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে তিনি শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন। একে একে ৪১টি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। দেশের শিল্প উন্নয়নের একজন পথিকৃৎ তিনি। দেশের জন্য তার এই অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
শোকসভায় দৈনিক যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশনের রাজশাহী ব্যুরোর সব সংবাদকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা শেষে বিশিষ্ট শিল্পপতি নুরুল ইসলামের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন রাজশাহী কলেজ জামে মসজিদের পেশ ইমাম বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা মাকছুদ উল্লাহ। এ সময় নুরুল ইসলামের মহৎ কর্ম তুলে ধরে দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করা হয় এবং তার পরিবারের সদস্যদের দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়।
