যবিপ্রবির ছয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামে মামলা, নিরাপত্তা প্রহরী বরখাস্ত
যশোর ব্যুরো
প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০২০, ০৩:৫৭ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামরুল হাসানকে লাঞ্ছিতের অভিযোগে ছয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার কোতোয়ালি থানায় যবিপ্রবির নিরাপত্তা প্রহরী বদিউজ্জামান বাদল, মালি মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, অফিস সহায়ক আরিফুল ইসলাম শাহীন, সেকশন অফিসার শাহীন হোসেন, সেকশন অফিসার ইকবাল হোসেন, ডেসপাস রাইডার ইমরান হোসেনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন এটিএম কামরুল হাসান।
সোমবার দুপুরে এটিএম কামরুল হাসানকে নিজ দফতরে লাঞ্ছিত ও হামলা চালিয়ে চেয়ার, টেবিল ভাংচুর করে আসামিরা। এ ঘটনায় মঙ্গলবার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে নিরাপত্তা প্রহরী বদিউজ্জামান বাদলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কোতোয়ালি থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, ছয়জনের নামে মামলা হয়েছে। প্রধান আসামি বদিউজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
যবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. ইকবাল কবীর জাহিদকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দীন পাটোয়ারি, কর্মচারী সমিতির সভাপতি এসএম সাজেদুর রহমান জুয়েল। তদন্ত কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত বদিউজ্জামান বাদলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
উপাচার্য আরও বলেন, বাদলের বিরুদ্ধে আগেও নানা অভিযোগ ছিল। তার চাকরি চলে গিয়েছিল। উচ্চ আদালতের মাধ্যমে সম্প্রতি চাকরিতে যোগদান করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংরক্ষিত বিভাগ কাউন্সিল দফতর। সেখানে একজন কর্মকর্তার কক্ষে ঢুকে এ ধরনের কর্মকাণ্ড দুঃখজনক। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
যবিপ্রবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামরুল হাসান বলেন, সোমবার উপাচার্য স্যারের সঙ্গে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ও কর্মচারী সমিতির বৈঠক ছিল। ওই সভার আলোচনার ভিত্তিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি ও দাবি-দাওয়া সংক্রান্ত একটি চিঠির খসড়া তৈরির জন্য আমার কক্ষে নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বসেছিলাম। বেলা ২টার দিকে ট্রেজারার দফতরের সামনে কর্মচারী বদিউজ্জামান বাদলের চিৎকার শুনতে পাই। এক পর্যায়ে বাদলের নেতৃত্বে মালি মোস্তাক, সেকশন অফিসার ইকবাল হোসেন, শাহীন হোসেন, কর্মচারী ইমদাদুল, আরিফুল ইসলাম শিনসহ বেশ কয়েজন আমার কক্ষে প্রবেশ করেন। তখন আমি মোবাইলে কথা বলছিলাম।
তিনি বলেন, কক্ষে ঢুকেই আমাকে গালিগালাজ শুরু করেন। এরপর থাবা মেরে আমার হাত থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চড়াও হয় তারা। তার সঙ্গে থাকা দলবল কক্ষের চেয়ার টেবিল ও কম্পিউটার তছনছ করেছে। তারা আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে অকথ্য গালিগালাজ করেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।
