Logo
Logo
×

সারাদেশ

ক্রেতাশূন্য আমতলীর পশুর হাট

Icon

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২০, ০১:৪৬ পিএম

ক্রেতাশূন্য আমতলীর পশুর হাট

আমতলী, বরগুনা

পবিত্র ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র ৮ দিন। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের মধ্যে ঈদকে সামনে রেখে ভালো লাভের আশায় খামারী ও ব্যবসায়ীরা গবাদি পশু নিয়ে আমতলী বাজারে এসেছে। বাজারে গবাদি পশুতে সয়লাব। কিন্তু ক্রেতাশূন্য আমতলী পশুর হাট। বুধবার বেলা ৩টা পর্যন্ত কোনো কোরবানির পশু বিক্রি হয়নি। ক্রেতাশূন্য থাকায় হতাশ খামার মালিক ও ব্যবসায়ীরা। এতে চরম লোকসানের মুখে খামারী, ব্যবসায়ী ও হাট ইজারাদার।
আমতলী প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় কোরবাণির জন্য ৩ হাজার ২৭৯টি গবাদি পশুর চাহিদা রয়েছে। চাহিদার বিপরীতে এ উপজেলার ৪ হাজার ২৭৬টি পশু আছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৮২৫টি গরু, ৮৪টি মহিষ, ১ হাজার ৩১৮টি ছাগল ও ২৮টি ভেড়া। চাহিদার তুলনায় ৯৯৭টি পশু বেশি রয়েছে। এর মধ্যে গরু ৫৮২টি। শেষ সময়ে ভালো লাভের আশায় খামারীরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। খুব যত্নসহকারে গবাদি পশুর দেখভাল করছেন তারা। কিন্তু প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে কোরবানি কম দেয়া ও চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশি থাকায় বাজারে পশুর দাম অনেক কমে গেছে। অনেক খামারী বাজারের অবস্থা দেখে মহা দুচিন্তায় পড়েছেন। বাজারে গবাদি পশুতে সয়লাব হয়ে গেছে। কিন্তু ক্রেতাশূন্য আমতলী পশুর হাট। বুধবার বেলা ৩টা পর্যন্ত কোনো কোরবানির পশু বিক্রি হয়নি। আমতলী গরুর বাজার খাজনা আদায়কারীরা অলস সময় কাটাচ্ছেন। দাম কম থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন খামার মালিক ও ব্যবসায়ীরা। এতে চরম লোকসানের মুখে খামারী, ব্যবসায়ী ও হাট ইজারাদার। 
বালিয়াতলী গ্রামের গরু ব্যবসায়ী আবুল কাশেম বলেন, গরুর বাজার ক্রেতাশূন্য। আটটি গরু নিয়ে বাজারে এসেছি একটিও বিক্রি করতে পারিনি। তিনি আরও বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর বাজারে গরুর দাম অনেক কম। 
ক্রেতা একে এম জিল্লুর রহমান বলেন, বাজারে গরুর দাম গত বছরের তুলনায় অনেক কম। মাঝারি সাইজের একটি গরু ৪০ হাজার টাকা বলেছি।
ব্যবসায়ী মানিক চৌকিদার বলেন, ১০০ কেজি ওজনের একটি গরু ৪৬ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। যা গত বছর ছিল অন্তত ৬০-৬৫ হাজার টাকা। এ বছর ব্যবসায়ীদের অনেক লোকসান গুনতে হবে।
আমতলী গাজীপুর বন্দরের গরু ব্যবসায়ী আলহাজ্ মাহবুবুর রহমান হাওলাদার বলেন, কোরবানি উপলক্ষে এখন পর্যন্ত দুইটি গরু বিক্রি করেছি। তাতে কোনো লাভ হয়নি। খামারের ৩টি গরু নিয়ে দুচিন্তায় আছি। তিনি আরও বলেন, করোনার কারণে বাজারে প্রায় ক্রেতাশূন্য। গত বছরের তুলনায় এ বছর গরু প্রতি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা কম দামে বিক্রি হচ্ছে।
আমতলী গবাদি পশুর হাট পরিচালনাকারী মো. আলাউদ্দিন মৃধা বলেন, বুধবার বেলা ৩টা পর্যন্ত কোরবানির একটি গরুও বিক্রি হয়নি। কিন্তু গরুতে বাজার সয়লাব। এতে আমাদের অনেক লোকসান হবে।
আমতলী গরু হাটের ইজারাদার ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোতাহার উদ্দিন মৃধা বলেন, এলাকার পশুতে কোরবানির চাহিদা পূরণ হয়ে অনেক পশু অবিক্রীত থেকে যাবে। করোনার কারণে এ বছর পশুর দাম গত বছরের তুলনায় অনেক কম। আমতলী থানার ওসি শাহ আলম হাওলাদার বলেন, সামাজিক ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কোরবানি উপলক্ষে পশুর বাজারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। যাতে মানুষ নির্বিঘ্নে পশু ক্রয়-বিক্রয় করে গন্তব্যে পৌঁছতে কোনো সমস্যা না হয়। তিনি আরও বলেন, জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিনসহ সাদা পোশাকে পুলিশ বাজারে কাজ করছে।
 

পশুর হাট আমতলী

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম