দৌলতদিয়ায় অবৈধভাবে গাড়ি পারাপারে ৪ জনকে দণ্ড
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
৩০ জুলাই ২০২০, ২১:০৩:২৬ | অনলাইন সংস্করণ
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে সুজন খন্দকার (২৮) নামের এক কথিত সাংবাদিক এবং আতিয়ার রহমান (৩৬) নামের ছাত্রদলের এক সাবেক নেতাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৬ মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া রাজীব মণ্ডল (২৮) ও উজ্জ্বল ফকির (২৭) নামের ২ জনকে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক দণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত ১০টার দিকে তাদের গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ট্রাফিক পুলিশ বক্স এলাকা থেকে আটক করা হয়। মহাসড়কে সিরিয়ালে আটকে থাকা চালকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা নিয়ে এবং প্রভাব খাটিয়ে কয়েকটি যানবাহনকে আগে ফেরিতে তুলে দেয়ার চেষ্টা করছিল তারা। এ সময় ঘাট এলাকায় কর্তব্যরত গোয়েন্দা সংস্থার একটি দল সুজন ও আতিয়ারকে হাতেনাতে আটক করে।
সূত্র জানায়, সুজন ঘাটের একজন চিহ্নিত দালাল ও দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীর একজন বাড়িওয়ালা। নিজের অপকর্মকে আড়াল করতে সে ইউটিউবনির্ভর একটি অনলাইন টিভি খুলে তার প্রকাশক হয়েছে। এছাড়া আতিয়ার দীর্ঘদিন ছাত্রদল ও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার পর ঘাটের চাঁদাবাজিকে নির্বিঘ্ন করতে বছর দুই আগে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়। দীর্ঘদিন ধরে তারা ঘাট এলাকায় পরিবহনের দালালি চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আল মামুন ঘাট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে রাজীব মণ্ডল ও উজ্জ্বল ফকিরকে একই অপরাধে আটক করেন এবং দালালদের ব্যবহৃত ২টি মোটরসাইকেল জব্দ করেন। পরে সুজন খন্দকার ও আতিয়ার রহমানকে ৬ মাস করে কারাদণ্ড এবং রাজীব মণ্ডল ও উজ্জ্বল ফকিরকে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক দণ্ডে দণ্ডিত করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম জানান, ঘাট এলাকায় চাঁদাবাজি, পরিবহনের দালালি, চুরি-ছিনতাইসহ যে কোনো ধরনের অপরাধ দমন ও ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের নির্বিঘ্নে যাতায়াত নিশ্চিত করতে তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত ৪ ব্যক্তি চালকদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে এবং অবৈধ উপায়ে কয়েকটি যানবাহনকে ফেরিতে তুলে দেয়ার চেষ্টা করছিল। যে কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে তাদের আটক ও সাজা দেয়া হয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
দৌলতদিয়ায় অবৈধভাবে গাড়ি পারাপারে ৪ জনকে দণ্ড
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে সুজন খন্দকার (২৮) নামের এক কথিত সাংবাদিক এবং আতিয়ার রহমান (৩৬) নামের ছাত্রদলের এক সাবেক নেতাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৬ মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া রাজীব মণ্ডল (২৮) ও উজ্জ্বল ফকির (২৭) নামের ২ জনকে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক দণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত ১০টার দিকে তাদের গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ট্রাফিক পুলিশ বক্স এলাকা থেকে আটক করা হয়। মহাসড়কে সিরিয়ালে আটকে থাকা চালকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা নিয়ে এবং প্রভাব খাটিয়ে কয়েকটি যানবাহনকে আগে ফেরিতে তুলে দেয়ার চেষ্টা করছিল তারা। এ সময় ঘাট এলাকায় কর্তব্যরত গোয়েন্দা সংস্থার একটি দল সুজন ও আতিয়ারকে হাতেনাতে আটক করে।
সূত্র জানায়, সুজন ঘাটের একজন চিহ্নিত দালাল ও দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীর একজন বাড়িওয়ালা। নিজের অপকর্মকে আড়াল করতে সে ইউটিউবনির্ভর একটি অনলাইন টিভি খুলে তার প্রকাশক হয়েছে। এছাড়া আতিয়ার দীর্ঘদিন ছাত্রদল ও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার পর ঘাটের চাঁদাবাজিকে নির্বিঘ্ন করতে বছর দুই আগে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়। দীর্ঘদিন ধরে তারা ঘাট এলাকায় পরিবহনের দালালি চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আল মামুন ঘাট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে রাজীব মণ্ডল ও উজ্জ্বল ফকিরকে একই অপরাধে আটক করেন এবং দালালদের ব্যবহৃত ২টি মোটরসাইকেল জব্দ করেন। পরে সুজন খন্দকার ও আতিয়ার রহমানকে ৬ মাস করে কারাদণ্ড এবং রাজীব মণ্ডল ও উজ্জ্বল ফকিরকে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক দণ্ডে দণ্ডিত করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম জানান, ঘাট এলাকায় চাঁদাবাজি, পরিবহনের দালালি, চুরি-ছিনতাইসহ যে কোনো ধরনের অপরাধ দমন ও ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের নির্বিঘ্নে যাতায়াত নিশ্চিত করতে তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত ৪ ব্যক্তি চালকদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে এবং অবৈধ উপায়ে কয়েকটি যানবাহনকে ফেরিতে তুলে দেয়ার চেষ্টা করছিল। যে কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে তাদের আটক ও সাজা দেয়া হয়।