প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা, ৩ মাতবর গ্রেফতার
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২০, ০২:৫৩ পিএম
বগুড়া
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বগুড়ায় বাক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টার ঘটনায় ৩ গ্রাম্য মাতবরকে নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধর্ষণের ঘটনাটি ৫ আগস্ট শেরপুর উপজেলার খানপুর দহপাড়া গ্রামে ঘটে। ৬ আগস্ট রাতে ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে ধর্ষক ইমান আলীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
জানা যায়, গত ৫ আগস্ট বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে পাশের বাড়ির সোলায়মান প্রামাণিকের ছেলে ইমান আলী ওই বাড়িতে ঢুকে বাক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ করে চলে যায়।
এ ঘটনায় ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়ায় তার বাবা-মা বিষয়টি বুঝতে পেরে চিকিৎসার জন্য শেরপুর হাসপাতালে নিতে চাইলে একই এলাকার মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে গ্রাম্য মাতুব্বর খানপুর দহপাড়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম লোকমান হোসেন (৫০), ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ (৪৫) ও খানপুর দহপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মনিরুজ্জামান প্লাবনসহ (৩৫) কয়েকজন মাতবর ধর্ষিতা ও তার বাবা-মাকে ২ দিন ঘরে আটকে রাখে।
এমনকি এই দুই দিন তাদের কোনো চিকিৎসাও নিতে দেয়নি গ্রাম্য মাতবররা। বন্দি থাকা অবস্থায় গত ৬ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে ধর্ষক ইমান আলীর বাবা ধর্ষিতাকে ১৬ শতক জমি লিখে দেয়ার শর্তে ধর্ষণের ঘটনা আপোস মীমাংসার চেষ্টা করে।
কিন্তু এতে রাজি হয়নি ধর্ষণের শিকার মেয়েটির পরিবার। পরবর্তীতে ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে ধর্ষক ইমান আলীসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার রাতে শেরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মীমাংসা বৈঠকে থাকা মাতবর লোকমান হোসেন, আব্দুল লতিফ ও মনিরুজ্জামান প্লাবনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার এসআই আলহাজ উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় শেরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯(১) ও ৩০ ধারায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান জানান, অভিযুক্ত মূল আসামিসহ অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
