শ্রীমঙ্গলে স্ত্রীকে গলা কেটে স্বামীর আত্মহত্যা
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২০, ০৯:৪৮ এএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে স্ত্রীকে গলা কেটে খুন করে স্বামী আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বৌলাছড়া চা বাগানে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে। নিহত গৃহবধূর নাম অলকা তন্ত রায় (৩৫) ও স্বামীর নাম বিকুল তন্ত রায় (৪০) বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এই ঝগড়ার জের ধরে রাতের কোনো একসময় স্ত্রীকে দা দিয়ে গলা কেটে খুন করে পরে স্বামী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
নিহতদের বড় মেয়ে সুভা তন্ত বায় (১২) জানায়, রাতে সে পাশের ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। রোববার সকালে ঘুম থেকে উঠে মা-বাবার ঘরে ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলে মায়ের গলা কাটা দেহ ও পাশে বাবার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায়।
সুভা জানায়, তার বাবা-মায়ের মধ্যে কোনো ঝগড়া-বিবাদ ছিল না। সুভার দেবা তন্ত রায় নামে ৬ বছরের এক ভাই ও দেবী তন্ত রায় নামে ২ বছরের এক বোন রয়েছে। বাবা-মায়ের এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে এই তিন শিশু শোকে বিহ্বল হয়ে পড়ে।
নিহত বিকুলের বড় ভাইয়ের স্ত্রী রত্না তন্ত রায় জানান, সকালে সুভার চিৎকারে শুনে গিয়ে মেঝেতে অলকার রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখেন। পাশে ঝুলে থাকা দেবরের লাশ দেখেন। তিনিও অলকা বিকুল দম্পত্তির মধ্যে ঝগড়া বিবাদ ছিল না বলে জানান।
এদিকে এটি স্বামী স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামীর আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড– এ নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক রণঞ্জিৎ সাঁওতাল বলেন, স্ত্রী অলকা মির্জাপুর চা বাগানের শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। স্বামী বিকুল বন থেকে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। বিকুল অলকার সংসারে কোনো কলহের কথা তিনি জানতেন না।
শ্রীমঙ্গল থানার ওসি (তদন্ত) সোহেল রানা যুগান্তরকে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জোড়া লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা দা উদ্ধার করা হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে– স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে কলহের কারণে স্বামী স্ত্রীকে হত্যা করে পরে সে নিজেও আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন করা হবে বলে তিনি জানান।
