Logo
Logo
×

সারাদেশ

সংশোধনাগারে পিটিয়ে হত্যা, জড়িতদের শাস্তির দাবি পরিবারের

Icon

বগুড়া ব্যুরো

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২০, ০৪:২৫ পিএম

সংশোধনাগারে পিটিয়ে হত্যা, জড়িতদের শাস্তির দাবি পরিবারের

স্বজনদের আহাজারি। ছবি: যুগান্তর

যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে নিহত বগুড়ার কিশোর অপরাধী নাঈম হোসেন (১৭) ও রাসেল ওরফে সুজনের (১৮) স্বজনদের মাঝে চলছে আহাজারি। 

পরিবারের সদস্যদের দাবি- সংঘর্ষ নয়, সংশ্লিষ্টরা তাদের পিটিয়ে হত্যা করেছে। তারা এ ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বিকালে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের তালিবপুর পূর্বপাড়ার নান্নু প্রামাণিকের ছেলে নাঈম হোসেন ও শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের মহিপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রাসেল ওরফে সুজনসহ তিনজন নিহত হয়। 

কিশোর নাঈম শিবগঞ্জের দেউলী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ত। গত ৩০ জানুয়ারি সে তার আপন চাচা শাহিনুর রহমানের মেয়ে ছয় বছরের শিশু সাদিয়া আকতারকে আলুক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ ও গলা কেটে হত্যা করে। পুলিশ গ্রেফতার করলে নাঈম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এ ঘটনায় আদালত তাকে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

শিবগঞ্জ থানার সাবেক ওসি মিজানুর রহমান জানান, বর্তমানে তার মামলাটি বগুড়া শিশু আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। নাঈমের মৃত্যুতে তার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তারা লাশের অপেক্ষায় রয়েছেন। মা শান্তনা বেগম তার ছেলের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। 

অপরদিকে রাসেল ওরফে সুজন ২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর প্রতিবেশী এক শিশুকে (১৩) অপহরণ ও ধর্ষণ করে। শিশুর বাবা থানায় সুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। গ্রেফতারের পর সুজন আদালতে স্বীকারোক্তি দেয়। বিচারক তাকে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

শেরপুর থানার বর্তমান ওসি মিজানুর রহমান জানান, ওই মামলায় আদালত সুজনকে ২৫ বছর জেল দেন।

সুজনের মা সুবেদা বেগম ও স্বজনরা দাবি করেছেন, তাদের ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। তারা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। 

এদিকে রাত ১০টা পর্যন্ত নিহত নাঈম ও সুজনের মরদেহ তাদের বাড়িতে এসে পৌঁছেনি।
 

বগুড়া নিহত

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম