বশেমুরবিপ্রবির চুরি হওয়া ৩৪ কম্পিউটার ঢাকায় উদ্ধার, গ্রেফতার ২
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২০, ০৫:০১ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) থেকে চুরি যাওয়া ৪৯টি কম্পিউটারের মধ্যে ৩৪টি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর মহাখালী এলাকার ‘জিসান ইন্টারন্যাশনাল’ হোটেলের একটি কক্ষ থেকে এসব কম্পিউটার উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হল ময়মনসিংহের চোরখাই গ্রামের মইজ উদ্দিনের ছেলে হুমায়ূন কবীর (৩৫) ও কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ইদারচর গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে দুলাল (২৫)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গোপালগঞ্জ সদর থানার এসআই মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহাখালীর ‘জিসান ইন্টারন্যাশনাল’ হোটেলে অভিযান চালায় রাজধানীর বনানী থানা ও গোপালগঞ্জ সদর থানার পুলিশ। এ সময় ওই হোটেলের একটি কক্ষ থেকে ৩৪টি কম্পিউটার উদ্ধার করা হয়। এ সময় হুমায়ুন ও দুলাল নামে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার হওয়া দুইজন জানিয়েছে, হোটেল ব্যবসায়ী গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের পলাশ শরীফসহ একটি চক্র এসব কম্পিউটার চুরির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, পলাশ শরীফ পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। উদ্ধারকৃত কম্পিউটারসহ গ্রেফতারকৃতদের গোপালগঞ্জে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার চুরির ঘটনায় তদন্ত চলছে। ইতোমধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
ঈদের ছুটির মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পেছন দিকের জানালা ভেঙে ৪৯টি কম্পিউটার চুরি করা হয়। প্রথমে ৯১টি কম্পিউটার চুরি হওয়ার কথা বললেও পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, ৪৯টি চুরি হয়েছে। গত ১০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. নূরউদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে এ ঘটনায় গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা করেন।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। ১৯ নিরাপত্তা প্রহরীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। এর আগে চার দফায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেড় শতাধিক কম্পিউটার চুরি হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান আব্দুল কুদ্দুস মিয়া বলেছেন, তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে আমরা এখনই কিছু বলছে পারছি না।
