Logo
Logo
×

সারাদেশ

রায়পুরে ফের জলোচ্ছ্বাস: তীরবর্তী ১৫ গ্রাম ও পৌর শহরে জলাবদ্ধতা

Icon

তাবারক হোসেন আজাদ, রায়পুর (লক্ষ্মীপুর)

প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২০, ০২:০৭ পিএম

রায়পুরে ফের জলোচ্ছ্বাস: তীরবর্তী ১৫ গ্রাম ও পৌর শহরে জলাবদ্ধতা

লক্ষীপুর

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে শুক্র ও শনিবার মেঘনা উপকূলে দ্বিতীয়বারের জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গেছে ১৫ গ্রামের প্রায় ৮ হাজার অসহায় পরিবারের বাড়িঘর। ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ৫টি বাজারসহ প্রায় ৮ হাজার বাসাবাড়িতে হাঁটুপানি বিরাজ করছে। এছাড়াও ৯টি পশুর খামার, ৩শ' মাছ চাষের পুকুর ও ৪৫টি পোলট্রি খামার ডুবে গেছে। এই করুণ অবস্থা থেকে উদ্ধার পেতে সিআইপি ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ।

 

 

টানা বর্ষণে রায়পুর-পৌর শহরের মুরিহাটা, মধ্যবাজার, পীর ফজলুল্লাহ সড়ক, উপজেলা পরিষদ চত্বর, মহিলা কলেজ সড়ক, নতুন বাজারসহ নয়টি ওয়ার্ডের বাসাবাড়িতে হাঁটু পানি বিরাজ করছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছ বলে অভিযোগ করেছেন নতুনবাজারের বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর।

 

রোববার সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার ১০ ইউপির মধ্যে উত্তর চরবংশী-দক্ষিণ চরবংশী-উত্তর চরআবাবিল ও দক্ষিণ চরআবাবিল ইউপির ১৫টি গ্রামের ৪০ কিলোমিটার এলাকায় কোটি কোটি টাকার সম্পদহানি ঘটেছে উপকূলবাসীর। এখন কেবলই চোখে পড়ে ক্ষতচিহ্ন। বেড়িবাঁধ  থাকায় বেঁচে গেছে ছয় ইউনিয়নবাসী। কিন্তু মেঘনার পশ্চিম পাশের-পানি ফুঁসে উঠায় চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তীরবর্তী রায়পুরের চার ইউপির ১৫ গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার। ৭ ফুট উচ্চতার এমন জলোচ্ছ্বাস গত ২০ বছরেও দেখেননি ওই এলাকার প্রবীণরা।

 

ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসী জানান, জোয়ারের পানি কয়েক মিনিটের মধ্যেই তীরে আঘাত হানে এবং মুহূর্তেই উপকূল অঞ্চলের নদী থেকে কয়েক কিলোমিটার তাণ্ডব চালায়। এ জলোচ্ছ্বাসে বসতঘরসহ আসবাবপত্র, পুকুরের মাছ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে রাস্তারও করুণ অবস্থার সৃষ্টি হয়। পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষকের ফসলি জমি ও আমন বীজতলা। পাশাপাশি রাস্তা ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এ অঞ্চল নদীকেন্দ্রিক অর্থনীতিনির্ভর হওয়ায় ইলিশের বাজারজাতকরণে সড়কগুলো বড় ভূমিকা রাখে৷ সড়কগুলোর এমন বেহাল দশায় ব্যবসায় বড় ধরনের ক্ষতি দেখছেন ইলিশ ব্যবসায়ীর সাথে কৃষকরাও।

 

রায়পুরের উত্তর চরবংশী ইউপি চেয়ারম্যান মো. হোসেন ও দক্ষিণ চরআবাবিল ইউপি চেয়ারম্যান শহীদউল্যা বলেন, অধিকাংশ গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন। বেড়িবাঁধের পশ্চিম পাশে বসবাস করা মানুষের ভিটে-মাটি তো বিলীন করছেই, পাশাপাশি একটু জোয়ার হলে পানিতে সব তলিয়ে যায়। মানুষদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না।

 

রায়পুর পৌরসভার মেয়র হাজী ইসমাইল বলেন, নতুন ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাকিগুলোর কাজ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই শুরু হবে। পানি নিষ্কাশনে কাজ করা হচ্ছে।

রায়পুর জলাবদ্ধতা

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম