সাজানো অপহরণ ও মুক্তিপণ ফাঁদে নিজেই বন্দি পিকআপচালক!
বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২০, ১২:৫৪ পিএম
টাকার জন্য ওই নাটক তৈরি করেন দেলোয়ার ও তার পিতা আশিক মিয়া।যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সিলেটের বিশ্বনাথে নিজের সাজানো অপহরণ ও মুক্তিপণ ফাঁদে নিজেই বন্দি হলেন এক পিকআপচালক। শুধু তাই নয়, সঙ্গে নিলেন জন্মদাতা পিতাকেও। নিজের সাজানো ওই অপহরণ ফাঁদে মঙ্গলবার রাতে এক সহযোগী ও পিতাসহ পুলিশের খাঁচায় বন্দি হয়েছেন ওই চালক। উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের আশিক মিয়ার পুত্র দেলোয়ার হোসেন (২৩), তার পিতা আশিক মিয়া (৪৫) ও তার সহযোগী এয়ারপোর্ট থানার সুবিধবাজার নুরানী ১১/১২ এর বাসিন্দা মৃত সামছুল ইসলামের পুত্র তাজুল ইসলামকে (৪৫) আটক করা হয়। বুধবার সকালে মামলা দায়েরের পর বিকালে তাদের সিলেট কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, চালক দেলোয়ার হোসেন দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের ধলিপাড়া গ্রামের মৃত আনোয়ারুল হকের পুত্র রাসেল মিয়ার (২৫) পিকআপ-ট্রাক চালাত।
একপর্যায়ে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি একটি ট্রিপের (ভাড়ার) কথা বলে ওই পিকআপ-ট্রাক নিয়ে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে যান। সেখানে যে ব্যক্তির ট্রিপ আনতে যান সেই ব্যক্তি চালক দেলোয়ার হোসেনকে আটক করে ৩ লাখ টাকা দাবি করে মারপিট করেছে। বিষয়টি দেলোয়ার হোসেনের পিতার কাছ থেকে পিকআপ-ট্রাকের মালিক জানতে পেরে ১৬ ফেব্রুয়ারি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ডায়েরি নং ৮৪৮। আর ওই ডায়েরির সূত্র ধরে মঙ্গলবার তাদের সিলেট ও শায়েস্তাগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই দেবাশীষ শর্মা। আটকের পর দেখা যায়- টাকার জন্য ওই নাটক তৈরি করেন দেলোয়ার ও তার পিতা আশিক মিয়া।
বিষয়টি তারা থানা পুলিশের কাছে স্বীকারও করেছেন। এ ঘটনায় বুধবার সকালে পিকআপ মালিক রাসেল মিয়া বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আর ওই মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।
