পটুয়াখালীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে মানববন্ধন বিক্ষোভ
পটুয়াখালী ও দক্ষিণ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২০, ০১:০৩ পিএম
পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় শিক্ষার্থী আরদিন খান অভির মৃত্যুর ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন অভির সহপাঠীরা। যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় শিক্ষার্থী আরদিন খান অভির মৃত্যুর ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন অভির সহপাঠীরা। বৃষ্টিতে ভিজে বুধবার দুপুরে পটুয়াখালী প্রেস ক্লাব চত্বরে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এ সময় অভির সহপাঠীরা বলেন- পটুয়াখালী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় অভিসহ একাধিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু দোষীদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না। যে কারণে স্বাস্থ্য বিভাগের আরও অনিয়ন-দুর্নীতি বাড়ছে। আমরা এর প্রতিকার ও দোষীদের বিচারের দাবিতে প্রয়োজনে কঠোর আন্দোলনে নামব। মামলাটি বর্তমানে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহম্মদ শিহাব উদ্দিন কর্তৃক তদন্তাধীন আছে।
এ সময় অভির সহপাঠীরা বলেন- ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র আরদিন খান অভিকে অসুস্থ্ অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলে দায়িত্বরত ডাক্তাররা নানা ব্যাস্ততা দেখিয়ে সটকে পড়ে। ওই সময় অভিকে নার্স আফসানা ইনজেকশন প্রয়োগ করলে অভি আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নানা নাটকীয়তার পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে অভির মৃত্যু হয়। অভির মৃত্যুর ঘটনায় জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত ডাক্তার তারেক হাসান বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে বলে সদর থানাকে অবহিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেন। পরে পুলিশ একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করে।
এদিকে দোষীদের বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধসহ কয়েক দফা আন্দোলন করেন সহপাঠী ও পরিবারের সদস্যরা। সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে অভিযোগপত্রও দেয়া হয়। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অপরাধ আড়াল করেন। পরে অভির মা মমতাজ বেগম বাদী হয়ে তৎকালীন জরুরি বিভাগের ডাক্তার মো. আনোয়ার উল্লাহ, মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাজহারুল ইসলাম, জুনিয়র কন্সালট্যান্ট শামীম আল আজাদ, ডাক্তার তারেক হাসান এবং সিনিয়র স্টাফ নার্স আফসানা বেগমকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আদালত সব নথিপত্র তলব করেন এবং পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহম্মদ শিহাব উদ্দিনকে তদন্তে ন্যস্ত করেন। কিন্তু দীর্ঘ এক বছরেও মামলায় কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় বিচার ও তদন্ত নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে।
