Logo
Logo
×

সারাদেশ

আখাউড়ায় নারীকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ

Icon

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২০, ১২:০৪ পিএম

আখাউড়ায় নারীকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ

সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নাজমা বেগমের অনার্স পড়ুয়া মেয়ে নাহিদা ইসলাম মিতু। যুগান্তর

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের লোকজনকে টাকা না দেয়ায় আখাউড়ায় নাজমা বেগম নামে এক নারীকে মাদক মামলায় মিথ্যা আসামি করা হয় বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় আখাউড়া পৌরশহরের দুর্গাপুর গ্রামের নাজমা বেগমের বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ অভিযোগ করা হয়।


সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নাজমা বেগমের অনার্স পড়ুয়া মেয়ে নাহিদা ইসলাম মিতু।

 

মিতু বলেন, ২৪ আগস্ট (সোমবার) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাদা পোশাকে চার-পাঁচজন লোক জোর করে আমাদের ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় আমার মা বাড়িতে ছিলেন না। বাড়িতে আমি ও আমার এক বোন ছিলাম। ওই লোকজন নিজেদের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের লোক বলে পরিচয় দেয়। এ সময় তারা আমার মা মাদক ব্যবসা করে বলে আমাদের ঘর তল্লাশি শুরু করে এবং আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। আমি তখন স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মো. তাজুল ইসলাম ও আশপাশের বাড়ির লোকজনকে ডেকে আনি। ঘণ্টাখানেক তল্লাশি করে আমাদের ঘরে কোনো মাদকদ্রব্য পায়নি।


পরে সবার উপস্থিতিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের লোকজন একটি জব্দ তালিকা করেন। সেই তালিকায় আমাদের বসত ঘরে কোনো মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করে। জব্দ তালিকায় পৌর কাউন্সিলর তাজুল ইসলাম, স্থানীয় বাসিন্দা মো. আসলাম হোসেন ও আমি (মিতু) স্বাক্ষর করি। এ সময় জব্দ তালিকার একটি কপি চাইলে তারা তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এক পর্যায়ে আমি মোবাইল ফোনে জব্দ তালিকার একটা ছবি তুলে রাখি।


মিতু অভিযোগ করেন, এ সময় উপস্থিত লোকজনকে সরিয়ে দিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী উপ-পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবির আমার কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন। তার মোবাইল ফোন নাম্বার দিয়ে পরে যোগাযোগ করতে বলেন। টাকা না দিলে মাদক মামলায় আমার মাকে ফাঁসিয়ে দেয়া হবে বলে হুমকি দেন।


সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নাজমা বেগম বলেন, আমি কখনও মাদক ব্যবসা করিনি। আমার নামে থানায় কোনো মামলা নেই। কিন্তু পরদিন ২৫ আগস্ট মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মিজানুর রহমান আখাউড়া থানায় একটি মাদক মামলা করেন। সেই মামলায় নাজমা বেগমকে ২নং আসামি করা হয়েছে। টাকা না দেয়ায় সাজানো একটি মামলায় তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।


পৌর কাউন্সিলর তাজুল ইসলাম বলেন, নাজমা বেগম মাদক বিক্রি করে বলে আমি কখনও শুনিনি। তল্লাশির সময় আমি উপস্থিত ছিলাম ওই সময় তার ঘর থেকে কোনো মাদকদ্রব্য উদ্ধার হয়নি।


ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. মিজানুর রহমান টাকা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি যুগান্তরকে জানান, আখাউড়ার দুর্গাপুর এলাকা থেকে ৪০০ পিস ইয়াবাসহ কালন মিয়া নামে এক মাদক চোরাকারবারিকে আটক করি। কালনের স্বীকারোক্তি এবং গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নাজমা বেগমের বাড়ি তল্লাশি করা হয়। যদিও নাজমা বেগমের বাড়িতে কোনো মাদক পাওয়া যায়নি। কিন্তু নাজমা বেগম দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসা করেন। মামলার ১নং আসামি কালনের বক্তব্যে তাকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।

নারী মাদক মামলা

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম