Logo
Logo
×

সারাদেশ

যশোরে ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

Icon

যশোর ব্যুরো

প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৩:৫৮ পিএম

যশোরে ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। টেন্ডার ও বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই নামমাত্র মূল্যে পুকুর লিজ ও নির্বাহী কমিটির সভা ছাড়াই গোপনে অ্যাথলেটিকস হোস্টেল বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করতে দেয়া হয়েছে অনুসারীদের।

এতে সংস্থা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কতিপয় কর্মকর্তা লাভবান হচ্ছেন। এছাড়াও ক্রীড়াঙ্গনের অসহায় ব্যক্তিদের সহায়তা বৈষম্য করা হয়েছে।

মঙ্গলবার প্রেস ক্লাব যশোর মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেছেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সর্বশেষ নির্বাচনে পরাজিত ‘খেলাধুলা উন্নয়ন ও অগ্রগতি পরিষদ।'

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব কবীর বলেছেন, অসৎ লোক শুধু মিথ্যা কথা বলে। সবাইকে নিজের মতোই মনে করে।

সংবাদ সম্মেলনে খেলাধুলা উন্নয়ন ও অগ্রগতি পরিষদের পক্ষে আসাদুজ্জামান মিঠু বলেন, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অনুমতি ছাড়াই জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাথলেটিকস হোস্টেলের দ্বিতীয়তলা বাণিজ্যিকভাবে হোটেল ও রেস্টুরেন্ট হিসেবে ব্যবহার করছেন ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সম্পাদক এবিএম আখতারুজ্জামান ও তার সহযোগীরা।

এ বিষয়ে কোনো প্রকার টেন্ডার ও কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাও হয়নি। এতে সংস্থা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই সঙ্গে সুইমিংপুলে প্রশিক্ষণরত পুরুষ ও মহিলা সাঁতারুরা নানা সমস্যার মধ্যে পড়বেন।

আসাদুজ্জামান মিঠু উল্লেখ করেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার অধীনে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের একটি তিন একর আয়তনের পুকুর রয়েছে। কোনো নিয়মনীতি না মেনে টেন্ডার ও পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ছাড়াই দীর্ঘদিন নামমাত্র মূল্যে ইজারা দেয়া হচ্ছে কর্মকর্তাদের অনুসারীদের কাছে। এতে সংস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ইজারার অতিরিক্ত অর্থ কয়েকজন কর্মকর্তা ভাগবাটোয়ারা করে নিচ্ছেন।

এছাড়াও করোনাকালীন জেলার দুস্থ ও অসহায় খেলোয়াড়, ক্রীড়া সংগঠক, প্রশিক্ষক ও রেফারিদের জন্য আর্থিক অনুদান প্রদান করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ সংস্থা। জেলা ক্রীড়া সংস্থার বর্তমান কমিটি আর্থিক এ অনুদান দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে বিতরণ না করে নিজেদের বলয়ে থাকা কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যসহ নিজেদের লোকের মাঝে বিতরণ করেছে।

এর মধ্যে জয়নাল আবেদিন, হালিম রেজা, হারান চন্দ্র দে, জমির হোসেন লাবু জোয়ার্দার, আকলিমা খাতুন ও আজিজুল ইসলাম শুকুরকে দুইবার প্রদান করা হয়েছে।

তবে যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব কবীরের দাবি, অনেক আগে পুকুর লিজ দিয়েছিল পূর্বের নির্বাহী পরিষদ। চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও দুই বছর আগে অ্যাডহক কমিটি লিজ অনুমোদন দেয়নি। ফলে ইজারাদার পূর্বের নিয়মেই টাকা জমা দিয়ে আসছেন। টেন্ডারের মাধ্যমে নতুন করে পুকুর লিজ দেয়া হবে।

তিনি বলেন, অ্যাথলেট হোস্টেলের দ্বিতীয়তলা সাত-আট মাস ধরে পড়েছিল। সংস্থার আয় বৃদ্ধির জন্য জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে ভাড়া দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রাক্তন কিছু খেলোয়াড় হোটেল করার জন্য ভাড়া নেয়ার আগ্রহী হয়। তারা বেশি টাকা ভাড়া দিতে রাজি হওয়ায় তাদের দেয়া হয়েছে। এখানে এবিএম আখতারুজ্জামানের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

ইয়াকুব কবীর বলেন, আমরা কাউকে দুইবার অনুদান দেইনি। অনেকে ব্যক্তিগত যোগাযোগে ঢাকা থেকে অনুদান এনেছেন। আমরা ৪৫ জনের অনুদান পেয়েছিলাম; তা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বিতরণ করেছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- আব্দুল মান্নান, মঈনুদ্দিন রোম, শরিফুল ইসলাম চৌধুরী সরু, আকসাদুর রহমান, নুরুল আরিফিন, আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
 

যশোর দুর্নীতি

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম