শেরপুরে কাঁচামরিচের কেজি ২৪০ টাকা!
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০১:৩৩ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বগুড়ার শেরপুরে সবজির দাম বৃদ্ধি হওয়ায় মধ্যবিত্তসহ নিম্নবিত্তরা অনেকটা বিপদের মুখে পড়েছে। বাজারে প্রত্যেকটি সবজির দাম বেশি হওয়ার কারণে চাহিদা অনুযায়ী কেনা সম্ভব হচ্ছে না তাদের।
বুধবার শেরপুর রেজিস্ট্রি অফিস বাজার, বিকাল বাজার, ফুলবাড়িসহ বিভিন্ন খুচরা বাজার সরেজমিন দেখা গেছে, প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ২৪০ টাকা ও পাইকারি ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব নিত্যপণ্যের দাম পাইকারি বাজারের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি রাখা হচ্ছে।
গত ১৫-২০ দিন আগেও বাজারে দাম ছিল কাঁচামরিচ ৬০-৮০ টাকা বর্তমানে ২৪০ টাকা, পেঁয়াজ ৩৫ বর্তমানে ৫০ টাকা, আলু ২৫ বর্তমানে ৫০ টাকা, পটল ৪০ বর্তমানে ৬০ টাকা, বেগুন ৫০ বর্তমানে ৬৫ টাকা, করলা ৫০ বর্তমানে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সবজির দামের সঙ্গে বেড়েছে চালের দামও। আর কাঁচামরিচের দামের তো কথায় নাই। তবে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি জামশেদ আলম রানা প্রতিনিয়ত উপজেলার বিভিন্ন বাজার মনিটরিং করতে দেখা গেছে। তিনি বাজারে বিক্রেতাদের সবজির দাম বেশি না নেয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন এবং যারা আইন অমান্য করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তাদের হুশিয়ার করেছেন।
সবজির দাম কি জন্য বৃদ্ধি পাচ্ছে এ বিষয়ে এক পাইকারি বিক্রেতা বলেন, বৃষ্টি ও বন্যার কারণে মরিচ ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় আমদানি কমে গেছে। সেজন্য নিত্যপণ্য কাঁচাবাজারের দাম বেড়ে গেছে। বর্তমানে আমরা কৃষকদের কাছ থেকে বেশি দামে কেনার কারণে বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে বেশি দামে বিক্রয় করতে হচ্ছে।
শেরপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ছামিদুল ইসলাম জানান, বাজারে কোনো কাঁচাবাজারের ঘাটতি নেই, চাহিদামতো সবই পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু একটি অসাধু ব্যবসায়ী চক্র বৃষ্টি ও বন্যার কারণ দেখিয়ে দাম বৃদ্ধি করছে।
শেরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. শারমিন আক্তার জানান, মৌসুম পরিবর্তনের কারণে বর্তমানে উৎপাদন কম হওয়ায় বাজারে দামও বেড়েছে। এবার উপজেলায় ১ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ হয়েছিল।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার ভূমি মো. জামশেদ আলম রানা বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা বৃষ্টি ও বন্যার কারণ দেখিয়ে সবজির দাম বৃদ্ধি করছে। কিন্তু আমরা প্রতিনিয়ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। কেউ যদি আইন না মানে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
