Logo
Logo
×

সারাদেশ

হত্যা ও গুমের মামলার পর জীবিত উদ্ধার হল গৃহবধূ

Icon

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৪:৪৪ পিএম

হত্যা ও গুমের মামলার পর জীবিত উদ্ধার হল গৃহবধূ

রাজবাড়ীতে হত্যা ও গুমের অভিযোগে আদালতে দায়েরকৃত মামলা থানায় রেকর্ডের একদিন পর জীবিত ও অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে রোজাব্বুন নেছা ওরফে খুকু মণি (৩৮) নামে এক গৃহবধূ। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজবাড়ী শহরের সজ্জনকান্দার মারকাজ মসজিদ এলাকা থেকে গৃহবধূ খুকু মণিকে উদ্ধার করে পুলিশ।

এর আগে গত ১৩ আগস্ট যৌতুকের জন্য খুকু মণিকে খুন করে তার লাশ গুম করে ফেলার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছিলেন তার বড় বোন জাহানারা বেগম ওরফে জলি। ট্রাইব্যুনালের আদেশে গত ৯ সেপ্টেম্বর মামলাটি এফআইআর  হিসেবে রাজবাড়ী থানায় রেকর্ড করা হয়। মামলায় খুকু মণির স্বামী রিয়াজুল ইসলাম মিল্টন (৪২) ও তার ভাইয়ের স্ত্রী রিপাসহ (৩৫) অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছিল, ২০০৬ সালের ১৯ জুন রাজবাড়ী শহরের সজ্জনকান্দা এলাকার (ডা. আবুল হোসেন কলেজের পাশে) মৃত পুলিশ সদস্য জয়নাল আবেদীন চৌধুরীর মেয়ে রোজাব্বুন নেছা ওরফে খুকু মণির সঙ্গে বিনোদপুর কলেজপাড়ার আদিল মিয়ার ছেলে রিয়াজুল ইসলাম ওরফে মিল্টনের নোটারি পাবলিকের কাছে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে হয়। তুবা (১১) নামে তাদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই পরিবারের অন্যদের প্ররোচনায় মিল্টন খুকু মণির কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে তা পিত্রালয় থেকে এনে দেয়ার জন্য ভীষণ চাপ সৃষ্টি ও নির্যাতন করতে থাকে। খুকু মণি পিত্রালয় থেকে দাবিকৃত যৌতুকের টাকা এনে দিতে ব্যর্থ হলে নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। 

গত ২৪ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে মিল্টনদের একজন প্রতিবেশী খুকু মণির বড় বোন জাহানারা বেগম ওরফে জলির কাছে ফোন করে জানান, তার বোনকে যৌতুকের জন্য অমানবিকভাবে মারপিট করা হচ্ছে। রাতে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করতে ব্যর্থ হয়ে পরদিন ২৫ জুন সকালে জাহানারা বেগম ওরফে জলিসহ কয়েকজন খুকু মণির শ্বশুরবাড়িতে গেলে সন্তোষজনক কোনো জবাব দিতে পারেনি। পরবর্তীতে আত্মীয়স্বজনদের বাড়িসহ সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ করেও খুকু মণির কোনো সন্ধান মেলেনি। এতে ধারণা করা হয়, খুকু মণিকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে, অথবা কোনো গোপন স্থানে আসামিদের নিয়ন্ত্রণে আটকে রাখা হয়েছে।

রাজবাড়ী থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার রোববার যুগান্তর জানান, গত ১০ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজবাড়ী শহরের সজ্জনকান্দার মারকাজ মসজিদ এলাকা থেকে ভিকটিম গৃহবধূ রোজাব্বুন নেছা ওরফে খুকু মণিকে উদ্ধার করা হয়। গত ১১ সেপ্টেম্বর বিকালে তাকে রাজবাড়ীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু হাসান খায়রুল্লাহর কাছে হাজির করা হলে সে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন। এরপর তাকে নিজ জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।

জবানবন্দিতে রোজাব্বুন নেছা ওরফে খুকু মণি জানান, কেউ তাকে অপহরণ বা নির্যাতন করেনি। স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় তিনি স্বামীর বাড়ি ও বাবার বাড়ির লোকজন থেকে আলাদা ছিলেন।

রাজবাড়ী

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম