মাল্টা চাষে লাখপতি ৩ বন্ধু!
আমানুল হক আমান, বাঘা (রাজশাহী)
প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৮:১৯ এএম
ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মাল্টা চাষে সফলতা অর্জন করেছেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার তিন বন্ধু। তাদের নাম- মুক্তা, তোফাজ্জল ও সুলতান। তারা উপজেলার আড়ানী খোর্দ্দ বাউসা এলাকায় তিন বিঘা জমি লিজ নিয়ে মাল্টার বাগান করেছেন। চলতি বছরে চার লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি হবে বলে আশা করেন তিন বন্ধু।
জানা যায়, মুক্তা, তোফাজ্জল ও সুলতান স্থানীয় তিন বন্ধু মিলে মাল্টার বাগান করার পরিকল্পনা করেন। তার পর তারা একসঙ্গে তিন বিঘা জমি পেয়েও যান। সেই জমিতে বাগান করেন।
২০১৭ সালে তিন বিঘা জমির ওপর ৩০০টি চারা রোপণ করেন মুক্তা, তোফাজ্জল ও সুলতান। দুই বছর পরিচর্যা শেষে প্রথম বছর ২০১৯ সালে ৬৭ হাজার টাকার মাল্টা বিক্রি করেন। চলতি বছরে চার লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি হবে বলে আশা করেন তারা।
ইতিমধ্যে নাটোরের এক ব্যবসায়ী সাড়ে তিন লাখ টাকা দাম বলেছেন। তারা আর একটু বেশি দাম হলেই বাগান বিক্রি করে দেবেন।
সরেজমিন দেখা যায়, তিন বন্ধু মাল্টাবাগানে পরিচর্যা করছেন। তারা ১০ বছর চুক্তিতে বার্ষিক ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে এই মাল্টার বাগান করছেন।
এ বিষয়ে সুলতান আহম্মেদ বলেন, বাগানে মাল্টার গাছ রয়েছে ৩০০টি। বাগানে মাল্টা-১ (পয়সা মাল্টা), থাইল্যান্ডের বেড়িকাটা মাল্টা ও ভারতীয় প্রলিত মাল্টা জাতের গাছ আছে। চারা রোপণের দুই বছর পর থেকে ফলন শুরু হয়। কিন্তু তিন বছর পর একটি গাছে পূর্ণাঙ্গভাবে ফল ধরা শুরু করে।
তিন বছর পর গাছপ্রতি মৌসুমে ৪০০ থেকে ৪৫০টি মাল্টা ধরে। বর্তমানে তার বাগান পরিচর্যার জন্য দুজন লোক কাজ করেন। তার দেখাদেখি এলাকার অনেক বেকার যুবক মাল্টাবাগান করে বেকারত্ব দূর করছেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে মাল্টা নিজ এলাকা পাশাপাশি দূরদূরান্তের ফল ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে বিক্রি করছেন। বাগান থেকে ব্যবসায়ীরা মৌসুম ভেদে পাইকারি ৮০-১২০ টাকা প্রতি কেজি দরে ক্রয় করেন।
বাঘা উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বলেন, মুক্তা, তোফাজ্জল ও সুলতানের মাল্টা বাগানে উৎপাদিত মাল্টা আকারে বড় ও মিষ্টি। তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করে এ বিষয়ে পরামর্শ দেয়া হয়।
