Logo
Logo
×

সারাদেশ

পদ্মার পানি কমায় ঘরবাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত চরবাসী

Icon

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৬:২০ এএম

পদ্মার পানি কমায় ঘরবাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত চরবাসী

ছবি: যুগান্তর

রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় পদ্মার পানি কমায় ঘরবাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন চরবাসী। নতুনভাবে ঘরবাড়ি মেরামত করছেন তারা। যাদের হাতে অর্থ নেই, তারা অনেকেই রয়েছেন বেকায়দায়।  

চৌমাদিয়া চরের খৈয়বর হোসেন বলেন, ভেঙে যাওয়া ঘরবাড়ি নতুন করে মেরামত করছি। মেরামত করার পয়সা নেই। তার পর তিন ছেলে, তিন মেয়ে ও স্ত্রী সুফি বেগমকে নিয়ে খুব কষ্টে দিন পার করছি। এবারের ভাঙনে বাড়িঘর পদ্মা গর্ভে চলে গেছে। কি করে ঘর মেরামত করব?

হাতে তো পয়সা নেই। এমন কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।  

স্ত্রী সুফি বেগম বলেন, স্বামীর অনেকটা বয়স হয়েছে। তার পর আবার অসুস্থ; দিন চালানোই মুসকিল হয়ে পড়েছে।

পলাশী ফতেপুর চরের বখতিয়ার খাঁ বলেন, চকরাজাপুর ইউনিয়ন চরের মানুষের প্রধান পেশা কৃষি এবং পাশাপাশি পদ্মায় মাছ ধরা। তাদের যা আয় হয় এই দিয়ে সংসার চলে। তার পর প্রতি বছর ঘরবাড়ি ভেঙে যায়। প্রতি বছর ঘরবাড়ি মেরামত করতে হয়। ভাঙনের ফলে এক স্থান থেকে অন্য জায়গায় ঘরবাড়ি তুলতে হয়। এভাবেই চলে আমাদের জীবন। শুকনো মৌসুমে কৃষিকাজ, বর্ষায় মাছ ধরে জীবন-জীবিকা চালাতে হয়।

চৌমাদিয়া চরের আঞ্জু মোল্লা বলেন, পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ঘরবাড়ি মেরামত করার চেষ্টা করছি। ঘরবাড়ি মেরামত না করলে থাকা মুসকিল হয়ে যাবে। খোলা জায়গায় তো বসবাস করা যায় না।

চৌমাদিয়া চরের গোলাম মোস্তফা বলেন, ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। মেরামত তো করতেই হবে। মেরামত না করলে ছেলেমেয়ে নিয়ে বসবাস কীভাবে করব। কিছু টাকা ছিল এই টাকা দিয়ে বাড়িঘর তৈরি করার চেষ্টা করছি।

চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বলেন, পদ্মার পানি কমতে শুরু করেছে। যেভাবে পদ্মার পাড় ভাঙছে তা প্রতিকারের ব্যবস্থা না করলে এলাকার চিহ্ন থাকবে না।

পদ্মার ১৫টি চরে পরিবার রয়েছে ৩ হাজার ৭৬২টি। এবারের ভাঙনে প্রায় দেড় শতাধিক পরিবার গৃহহারা হয়েছে। তারা নতুন করে সাধ্যমতো ঘরবাড়ি তৈরি করার চেষ্টা করছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, ঘরবাড়ি ভেঙে যাওয়া পরিবারের তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসককে অবগত করা হয়েছে।

রাজশাহী বাঘা ঘর পদ্মা

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম