কুমিল্লার বরুড়া উপজেলায় আদ্রা ইউনিয়নের উপনির্বাচনে কেন্দ্র দখল, হামলা করাসহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভোট শুরুর আগে কাকৈরতলা কেন্দ্রে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (আনারস) মাহফুজুর রহমান সেলিমের ১০ কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টায় উপজেলার কাকৈরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এবং সকাল ৮টায় ভোট শুরুর পর আদ্রা ইউনিয়নের উপনির্বাচন কেন্দ্রে এসব ঘটনা ঘটে।

এদিকে হেরপেটি এলাকায় আনারস প্রতীকের প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

মঙ্গলবার আনারস প্রতীকের প্রার্থীর কর্মী মো. সজিব অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টায় কাকৈরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে হামলা করেন নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। আমাদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে নৌকার প্রার্থীর কর্মী তাফাজ্জল তপু।

কাকৈরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইজিং অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, স্কুলের সীমানার মধ্যে কোনো ঝামেলা হয়নি। নৌকা ছাড়া অন্য প্রতীকের এজেন্ট কেন্দ্রে আসেনি।

এ কেন্দ্রের পুলিশ কর্মকর্তা এসআই নাসের জানান, ভোট শুরুর আগে বাইরে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার খবর শুনেছি। তবে ভেতরে কোনো সমস্যা হয়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছে।

বিএনপির প্রার্থী মো. পারভেজ হোসেন বলেন, নৌকার লোকেরা ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে নলুয়া, পেরপেটি, আদ্রা, হেরপেটি, নরীন্দ্রপুরসহ ৬টি কেন্দ্র দখল করেছে। বহিরাগত লোক দিয়ে আমার কর্মী মনিরকে আহত করেছেন, তিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আমি ভোট বর্জন করলাম। এ নির্বাচন আবার হোক। আমি লিখিত অভিযোগ দাখিল করব।

তবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবদুল করিম বলেন, সব কেন্দ্রে ঠিকঠাক ভোট হচ্ছে। কোথাও কোনো সমস্যা এখনও শুনিনি। আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।

বরুড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে। আমার কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি।