কুমিল্লায় ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ
কুমিল্লা ব্যুরো
০২ নভেম্বর ২০২০, ০০:০২:১১ | অনলাইন সংস্করণ
কুমিল্লার মুরাদনগরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়াকে কেন্দ্র করে দুটি বাড়ির ৪টি ঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার বিকেলে উপজেলার পুর্বধইর পুর্ব ইউপির কোরবানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে ওই গ্রামে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, কোরবানপুর গ্রামের শিক্ষক শংকর দেবনাথ এবং আন্দিকুট গ্রামের অনিক ভৌমিক নামের দুই ব্যক্তি তাদের ফেসবুক আইডি থেকে মহানবীকে (সা.) নিয়ে ফ্রান্সে প্রদর্শিত ব্যঙ্গচিত্রকে সমর্থন করে মন্তব্য করেন। বিষয়টি স্থানীয়দের দৃষ্টিগোচর হলে এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
শনিবার রাতে এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ওই দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।
এদিকে রোববার ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার গুজবে পুর্বধইর পশ্চিম ইউপির চেয়ারম্যান বন কুমার শিবসহ ওই গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের একাধিক বাড়িতে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়।
খবর পেয়ে রাতেই জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর ও পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান।
এরপর কোরবানপুর ও আন্দিকোট গ্রামে ৪ প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
কোরবানপুর গ্রামের বাসিন্দা আবুল খায়ের জানান, স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনের প্রধান শিক্ষক শংকর তাদের ফেসবুক আইডি থেকে মহানবীকে (সা.) নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনকে সমর্থন করে পোস্ট ও মন্তব্য করেন বলে খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার মানুষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, থানা পুলিশ মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক শংকর দেবনাথ ও আন্দিকোট গ্রামের অনিক ভৌমিককে গ্রেফতার করেছে। ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এরপর ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা অনভিপ্রেত, এ ঘটনায় আরেকটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। ভাঙচুরের ভিডিও রয়েছে, তা দেখে এবং তদন্ত করে অপরাধী শনাক্ত করে আইগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর বলেন, একজন ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে আমি এবং পুলিশ সুপার দুজনেই ঘটনাস্থলে এসেছি। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
কুমিল্লায় ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ
কুমিল্লার মুরাদনগরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়াকে কেন্দ্র করে দুটি বাড়ির ৪টি ঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার বিকেলে উপজেলার পুর্বধইর পুর্ব ইউপির কোরবানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে ওই গ্রামে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, কোরবানপুর গ্রামের শিক্ষক শংকর দেবনাথ এবং আন্দিকুট গ্রামের অনিক ভৌমিক নামের দুই ব্যক্তি তাদের ফেসবুক আইডি থেকে মহানবীকে (সা.) নিয়ে ফ্রান্সে প্রদর্শিত ব্যঙ্গচিত্রকে সমর্থন করে মন্তব্য করেন। বিষয়টি স্থানীয়দের দৃষ্টিগোচর হলে এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
শনিবার রাতে এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ওই দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।
এদিকে রোববার ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার গুজবে পুর্বধইর পশ্চিম ইউপির চেয়ারম্যান বন কুমার শিবসহ ওই গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের একাধিক বাড়িতে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়।
খবর পেয়ে রাতেই জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর ও পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান।
এরপর কোরবানপুর ও আন্দিকোট গ্রামে ৪ প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
কোরবানপুর গ্রামের বাসিন্দা আবুল খায়ের জানান, স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনের প্রধান শিক্ষক শংকর তাদের ফেসবুক আইডি থেকে মহানবীকে (সা.) নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনকে সমর্থন করে পোস্ট ও মন্তব্য করেন বলে খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার মানুষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, থানা পুলিশ মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক শংকর দেবনাথ ও আন্দিকোট গ্রামের অনিক ভৌমিককে গ্রেফতার করেছে। ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এরপর ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা অনভিপ্রেত, এ ঘটনায় আরেকটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। ভাঙচুরের ভিডিও রয়েছে, তা দেখে এবং তদন্ত করে অপরাধী শনাক্ত করে আইগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর বলেন, একজন ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে আমি এবং পুলিশ সুপার দুজনেই ঘটনাস্থলে এসেছি। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।