ধর্ষণের ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ফের ধর্ষণ, চেয়ারম্যান গ্রেফতার
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
২৫ নভেম্বর ২০২০, ১৮:২২:৪৮ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ষণ করার ধারণকৃত ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ফের ধর্ষণের অভিযোগে গাইবান্ধা সদরের লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদলকে (৪৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার নারী বাদী হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩ মার্চ ন্যাশনাল সার্ভিসে চাকরির জন্য প্রত্যয়নপত্র নিতে ওই নারী ইউনিয়ন পরিষদে গেলে চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদল তাকে রুমে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় কৌশলে চেয়ারম্যান ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রাখেন।
পরবর্তীতে ওই নারীকে ধর্ষণের ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। সর্বশেষ গত ১১ নভেম্বর নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে তার স্বামীর অনুপস্থিতিতে ধর্ষণের সময় আশপাশের লোকজন টের পেলে চেয়ারম্যান বাদল পালিয়ে যান।
গাইবান্ধা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মজিবর রহমান জানান, বুধবার ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ওই চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদল স্থানীয় লেংগাবাজার বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। ২০১৭ সালে ওই বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে তিনি দীর্ঘদিন কারাবাস করেন। পরে জামিনে বেরিয়ে এসে তিনি ধর্ষণের মামলা মীমাংসা করে মামলা থেকে রেহাই পান।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ধর্ষণের ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ফের ধর্ষণ, চেয়ারম্যান গ্রেফতার
ধর্ষণ করার ধারণকৃত ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ফের ধর্ষণের অভিযোগে গাইবান্ধা সদরের লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদলকে (৪৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার নারী বাদী হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩ মার্চ ন্যাশনাল সার্ভিসে চাকরির জন্য প্রত্যয়নপত্র নিতে ওই নারী ইউনিয়ন পরিষদে গেলে চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদল তাকে রুমে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় কৌশলে চেয়ারম্যান ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রাখেন।
পরবর্তীতে ওই নারীকে ধর্ষণের ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। সর্বশেষ গত ১১ নভেম্বর নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে তার স্বামীর অনুপস্থিতিতে ধর্ষণের সময় আশপাশের লোকজন টের পেলে চেয়ারম্যান বাদল পালিয়ে যান।
গাইবান্ধা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মজিবর রহমান জানান, বুধবার ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ওই চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদল স্থানীয় লেংগাবাজার বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। ২০১৭ সালে ওই বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে তিনি দীর্ঘদিন কারাবাস করেন। পরে জামিনে বেরিয়ে এসে তিনি ধর্ষণের মামলা মীমাংসা করে মামলা থেকে রেহাই পান।