স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হত্যা: ফারুককে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি
আবুল খায়ের, কুমিল্লা ব্যুরো
প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২০, ০৮:৫২ এএম
ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলায় আলোচিত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম জহির হত্যা মামলার গ্রেফতার আসামি ফারুক হোসেনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
এদিকে আলোচিত এ ঘটনার পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও এ হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা আবাদুল ইসলাম আবাদ ও তার ছেলেরা এখনও গ্রেফতার হয়নি। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সোমবার বরুড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নাহিদ আহমেদ বলেন, কুমিল্লার আদালত ফারুককে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে। শিগগিরই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আর মামলার অপর আসামিদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে তারা সবাই এলাকা থেকে পলাতক রয়েছে। আশা করছি শিগগিরই তাদের গ্রেফতার করতে পারব।
জানা যায, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার শিলমুড়ী উত্তর ইউনিয়নের জীবনপুর গ্রামে দুপক্ষের সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ মেটাতে গিয়ে খুন হন বরুড়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির।
তিনি বরুড়া পৌর এলাকার জিনসার গ্রামের মৃত আবদুল মালেকের ছেলে। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই নিহত জহিরের ভাই জোবায়ের হোসেন বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের দিনই গ্রেফতার করা হয় মামলার ৪ নম্বর আসামি ফারুক হোসেনকে। তবে ঘটনার মূলহোতা আবাদুল ইসলাম গংরা এখনও গ্রেফতার না হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এদিকে ঘটনাটি জমিসংক্রান্তে বিরোধের জেরে সংঘটিত হলেও ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে একাধিক মহল।
মামলার বাদী ও নিহত জহিরের ছোট ভাই জোবায়ের হোসেন বলেন, হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পার হলেও আসামিরা গ্রেফতার হয়নি। তারা বিনা অপরাধে আমার ভাইকে খুন করল। আমার আট বছরের ভাতিজা রূপক এখনও তার বাবার জন্য কান্না করছে।
আমার মা এখনও ভাইয়ের জন্য বিলাপ করে। খুনিদের ফাঁসি না হলে আমাদের বুকের জ্বালা বন্ধ হবে না। তাই দ্রুত খুনিদের গ্রেফতারের দাবি করছি।
