বাবলাবন বধ্যভূমিতে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধের উদ্বোধন
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২০, ০৯:৪০ এএম
রাজশাহী মহানগরীর পদ্মার তীরবর্তী এলাকায় বাবলাবন বধ্যভূমি মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধের উদ্বোধন করা হয়েছে।
রাজশাহী মহানগরীর পদ্মার তীরবর্তী এলাকায় বাবলাবন বধ্যভূমি মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টায় ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে স্মৃতিসৌধের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের উদ্বোধক রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
এরপর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অপর্ণ করেন সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন ও অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা ও স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারাও।
এ সময় শহীদদের স্মরণে এক মিনিটি নীরবতা পালন করা হয়। পরে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনায় মোনাজাত করা হয়। এরপর বিভিন্ন সংগঠন ও শ্রেণি-পেশার মানুষ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ‘মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থানসমূহ সংরক্ষণ ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বধ্যভূমি মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করেছে এলজিইডি রাজশাহী। স্মৃতিসৌধ উদ্বোধন উপলক্ষে সোমবার সেখানে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বলেন, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস বাঙালি জাতির বেদনাবিধুর দিন। সেই দিনে আমরা বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য স্মৃতিসৌধের উদ্বোধন করছি। এটি ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন হয়ে থাকবে।
সভায় মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, হানাদার বাহিনী তাদের নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করতে স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার-আলবদর বাহিনীর সহযোগিতায় আত্মসমর্পণের প্রাক্কালে দেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিল্পীসহ বহু গুণীজনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ থেকে বোঝা যায় পরাজয়ের শেষ মুহূর্তেও রাজাকার-আলবদর বাহিনী দেশের বিরুদ্ধে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে গেছে। এমনকি স্বাধীনতার পর তারা সক্রিয় থেকেছে।