ভিসির স্ত্রী ছেলে মেয়ের নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
খুলনা ব্যুরো
২০ ডিসেম্বর ২০২০, ২১:৫৪:৪৯ | অনলাইন সংস্করণ
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুকৃবি) তিনটি পদে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এসব পদে খুকৃবির ভাইস চ্যান্সেলরের স্ত্রী, মেয়ে এবং ছেলে আবেদন করেছিলেন বলে জানা গেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব নীলিমা আফরোজ স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিষয়টি রোববার রাতে যুগান্তরের কাছে স্বীকার করেছেন খুকৃবির ভিসি এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার।
মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের অধ্যাপক, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক এবং প্রশাসনিক শাখায় কর্মকর্তা/সমমান (৯ম গ্রেড) পদের নিয়োগ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
জানা যায়, এসব পদে খুকৃবির ভাইস চ্যান্সেলরের স্ত্রী, মেয়ে এবং ছেলে আবেদন করেছিলেন। বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে ভাইস চ্যান্সেলর নিজেই নিয়োগ কমিটিতে উপস্থিত না থাকার আবেদন করেন মন্ত্রণালয়ে।
পরবর্তীতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের অধ্যাপক নিয়োগ বোর্ডের জন্য যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এবং অপর দুটি নিয়োগ বোর্ডের জন্য গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত) ড. একিউএম মাহবুবকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এর মধ্যে গত ৯ ডিসেম্বর ফের মন্ত্রণালয় থেকে আরেকটি নির্দেশনায় তিনটি পদেই নিয়োগ কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে খুকৃবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ডা. খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার যুগান্তরকে জানান, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশনা এসেছে এবং এটা রিসিভ করেছি।
খুকৃবির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. শহীদুর রহমান খান যুগান্তরকে বলেন, নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়। এটা সম্পূর্ণ মন্ত্রণালয়ের বিষয়। কেন বা কী কারণে দিয়েছে জানি না। পরবর্তী নির্দেশনা পেলেই নিয়োগ কার্যক্রমের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
ভিসির স্ত্রী ছেলে মেয়ের নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুকৃবি) তিনটি পদে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এসব পদে খুকৃবির ভাইস চ্যান্সেলরের স্ত্রী, মেয়ে এবং ছেলে আবেদন করেছিলেন বলে জানা গেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব নীলিমা আফরোজ স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিষয়টি রোববার রাতে যুগান্তরের কাছে স্বীকার করেছেন খুকৃবির ভিসি এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার।
মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের অধ্যাপক, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক এবং প্রশাসনিক শাখায় কর্মকর্তা/সমমান (৯ম গ্রেড) পদের নিয়োগ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
জানা যায়, এসব পদে খুকৃবির ভাইস চ্যান্সেলরের স্ত্রী, মেয়ে এবং ছেলে আবেদন করেছিলেন। বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে ভাইস চ্যান্সেলর নিজেই নিয়োগ কমিটিতে উপস্থিত না থাকার আবেদন করেন মন্ত্রণালয়ে।
পরবর্তীতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের অধ্যাপক নিয়োগ বোর্ডের জন্য যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এবং অপর দুটি নিয়োগ বোর্ডের জন্য গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত) ড. একিউএম মাহবুবকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এর মধ্যে গত ৯ ডিসেম্বর ফের মন্ত্রণালয় থেকে আরেকটি নির্দেশনায় তিনটি পদেই নিয়োগ কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে খুকৃবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ডা. খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার যুগান্তরকে জানান, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশনা এসেছে এবং এটা রিসিভ করেছি।
খুকৃবির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. শহীদুর রহমান খান যুগান্তরকে বলেন, নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়। এটা সম্পূর্ণ মন্ত্রণালয়ের বিষয়। কেন বা কী কারণে দিয়েছে জানি না। পরবর্তী নির্দেশনা পেলেই নিয়োগ কার্যক্রমের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।