Logo
Logo
×

সারাদেশ

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কুড়িগ্রামে ৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস

Icon

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২১, ০৪:৩৯ এএম

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কুড়িগ্রামে ৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস

ছবি: যুগান্তর

শীতের কাঁপন ধরেছে দেশের উত্তরাঞ্চলে। দেখা মিলছে না সূর্যের। সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রামে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রোববার সকাল ৬টায় এই রেকর্ড করা হয়। দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে চারদিক।

এর আগে রাতভর ছিপছিপ বৃষ্টির মতো ঝরেছে শিশির। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে যারা কাজে বের হয়েছেন, তাদের অবস্থা এখন জবুথবু। প্রয়োজন ছাড়া খুব একটা বের হচ্ছেন না মানুষ। ফলে কর্মহীন অবস্থায় রয়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে ভুগছেন তারা।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, হঠাৎ করেই কুড়িগ্রামে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। রোববার সকাল ৬টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কুড়িগ্রামে রেকর্ড করা হয়, যা এ মৌসুমেরও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ অবস্থা আরও ৩-৪ দিন থাকতে পারে বলে তিনি জানান।

জানা যায়, কুড়িগ্রামে তীব্র শৈত্যপ্রবাহে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। হিমশীতের কারণে থমকে গেছে বোরো আবাদ। কর্মজীবীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। জেলা প্রশাসন ও বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ফলে দিনমজুর, নিম্নআয়ের ও চরাঞ্চলের মানুষ পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের ফারাজীপাড়ার কৃষক আবুল হোসেন ও মোজাহার আলী জানান, তীব্র শীতের কারণে কাজে-কর্মে বের হওয়া যাচ্ছে না। কিছুক্ষণ পানিতে কাজ করলে হাত-পা অসাড় হয়ে যাচ্ছে। যারা দিনমজুর তারা কাজকর্ম করতে না পেরে সমস্যায় পড়েছেন।

ওই গ্রামের ফাতেমা বেগম, লাইলি ও আনোয়ারা জানান, ঠাণ্ডায় রাতে ঘুম হয় না। সন্তানরা সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, সরকারিভাবে শীতার্তদের জন্য ৫৭ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বেসরকারিভাবে বিতরণ অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।

এদিকে আলুর ক্ষেত ও বোরো চাষ নিয়ে কৃষকের দুশ্চিন্তা থাকলেও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মঞ্জুরুল হক জানান, তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে আলু ক্ষেতের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও আগাম স্প্রের কারণে সেটি কমে গেছে। এ ছাড়া শীতের কারণে সাময়িকভাবে বীজ ধান রোপণে কিছুটা বিলম্ব হলেও তাতে কোনো সমস্যা হবে না।

শীত কেটে গেলে টার্গেট পূরণ হবে। চলতি বছর জেলায় এক লাখ ১২ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার প্রায় ৬০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড বীজধান লাগানো হচ্ছে বলে তিনি জানান।

কুড়িগ্রাম শীত কাঁপন উত্তরাঞ্চল

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম