Logo
Logo
×

সারাদেশ

কর্মস্থলে যোগদানের দাবি, অবরুদ্ধ রাবি ভিসিসহ চার কর্তাব্যক্তি

Icon

রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২১, ০৭:৪৫ পিএম

কর্মস্থলে যোগদানের দাবি, অবরুদ্ধ রাবি ভিসিসহ চার কর্তাব্যক্তি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সদ্যবিদায়ী ভিসি এম আব্দুস সোবহানের শেষ কর্মদিবসে অবৈধভাবে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিরা কর্মস্থলে যোগদানের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার ও পদায়নের সুযোগের দাবিতে ভিসি (রুটিন দায়িত্ব) ও প্রো-ভিসিসহ প্রশাসনের চার শীর্ষকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

সোমবার ভিসির সম্মেলন কক্ষে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টার পরও অবরুদ্ধ ছিলেন।

ঘটনাস্থলে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন- ভিসি প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা (রুটিন দায়িত্ব), প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. জাকারিয়া, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান আল আরিফ, রেজিস্ট্রার প্রফেসর আব্দুস সালাম।

সূত্র জানায়, বেলা সাড়ে ১১টা থেকে উপাচার্য সম্মেলন কক্ষের সামনে অবস্থান নেন নিয়োগপ্রাপ্তরা। এর আগে বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে উপাচার্য সম্মেলন কক্ষে প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিসহ ডিনদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। মিটিং চলমান অবস্থায় অবৈধ নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিরা কর্মস্থলে পদায়নের দাবি জানালে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এ সময় ডিনরা সম্মেলন কক্ষ ত্যাগ করলে নিয়োগপ্রাপ্তরা রুটিন দায়িত্বে থাকা ভিসিসহ প্রাশসনের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিদের অবরুদ্ধ করে ফেলেন।

সরেজমিন দেখা গেছে, ভিসি, প্রো-ভিসিকে অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্তরা বারবার অনুরোধ জানাচ্ছেন কর্মস্থলে যোগদানের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিতে।

অন্যদিকে রুটিন দায়িত্বে থাকা ভিসি তার অসহায়ত্ব প্রকাশ করে বলছেন, এ নিয়োগের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কিছু করার নেই। এটা শিক্ষা মন্ত্রণালয় পর্যবেক্ষণ করছে। এছাড়াও আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি হিসেবে একজনকে সঙ্গে নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যেতেও চেয়েছেন ভিসি। এরপরও আন্দোলন থেকে সরে আসতে চাচ্ছেন না নিয়োগপ্রাপ্তরা। নিয়োগপ্রাপ্তদের দাবি স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তারা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের অবরুদ্ধ করে রাখতে চান।

নিয়োগপ্রাপ্ত ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাহফুজ আল আমিন বলেন, গত ৬ মে যোগদান করেছি। তবে যে দফতর বা বিভাগে নিয়োগ পেয়েছিলাম সেখানে পদায়ন হঠাৎ স্থগিত করা হয়। এতদিন ক্যাম্পাস বন্ধ ছিল সেজন্য আমরা যোগদান করতে আসিনি। এখন এসেছি। তবে রুটিন দায়িত্বে থাকা ভিসি বলছেন, মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা আছে। কিন্তু স্থগিতাদেশের কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। পরে বলছেন মৌখিক নিষেধাজ্ঞা।

ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর লিয়াকত আলী যুগান্তরকে বলেন, অ্যাডহক নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিরা তাদের কর্মে পদায়নের সুযোগ চেয়ে ভিসির সম্মেলন কক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এখানে আমার কিছু করার নেই। এটা ঊর্ধ্বতন প্রশাসনের ব্যাপার।

এ বিষয়ে রুটিন দায়িত্বে থাকা ভিসি প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা যুগান্তরকে বলেন, নিয়োগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা আছে। তার ওপর মন্ত্রণালয় নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন। এমনকি ওই নিয়োগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে তদন্ত কমিটি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এমতাবস্থায় পরবর্তী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কিছু করার নেই বলে জানান ভিসি।

এর আগে সদ্যবিদায়ী ভিসি এম আব্দুস সোবহান গত ৬ মে তার শেষ কর্মদিবসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অবৈধভাবে ১৪১ জনকে নিয়োগ দেন। নিয়োগ দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় ওই নিয়োগকে অবৈধ উল্লেখ করে সংশ্লিষ্টদের চিহ্নিত করতে চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী গত ২৩ মে তদন্ত প্রতিবেদন দেয় কমিটি। সেখানে অবৈধ নিয়োগ বাতিলসহ নয়, সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি।

রাজশাহী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম