পাখিদের কলতানে মুখর আরশিনগর
মাহবুব পলাশ, মীরসরাই ( চট্টগ্রাম)
প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২১, ১০:১১ এএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বিকাল হলেই পাখিদের কলতানে সৃষ্টি হচ্ছে ভিন্নরকম আবহ। পাইন, নাগাচূড়া, সাউড়াসহ কিছু পাখিবান্ধব গাছকে আপন ঠিকানা করে নিয়েছে হরেক রকম পাখি।
নানান জাতের চড়ুই, বাবুই, টুনটুটি পাখির পাশাপাশি পাশের লেকে মাছ শিকারে আসা মাছরাঙ্গা, স্কারল্যাক, দোয়েলসহ হরেক রকম পাখিগুলো দৃষ্টি কেড়েছে অনেক প্রকৃতি প্রেমিকের।
পাখিদের এই আস্তানাটি গড়ে উঠেছে চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনাপাহাড় এলাকার গাছগাছালি সমৃদ্ধ আরশিনগর ফিউচার পার্কে। পার্কটিতে হাজারো জাতের দেশী বিদেশী বৃক্ষরাজির সমন্বয় করাতে পাখিদের যেন মনে ধরে যায় জায়গাটি। পার্কের মালিকেরও যেন সাপে বর।
তিনি এসব পাখির কলরব শুনে এদের জন্য প্রাকৃতিক খাবার ও উন্মুক্ত বাসস্থানের কথা ভেবে গাছে গাছে হাঁড়ি টানিয়ে দিয়েছেন। বিকালে পাখির বেশি সমাগম বলে বিকাল বেলা ধান, কাউন ধান, চালের কণাসহ পাখিদের বিভিন্ন খাবার দেন। এতেই ওরা যেন মহাখুশি। বিকাল হলেই পাখিরা দল বেঁধে এসে যেন আসর জমায়। আর পাখিগুলো যখন শুরু করে চিচির মিচির তখনি সৃষ্টি হয় ভিন্নতর নান্দনিক আবহ।
পাখিদের এই ঠিকানা গড়ে উঠেছে পার্কের ভেতরের অর্কিচ রেস্টুরেন্টের বিপরীতে সবুজ অভয়ারণ্য অংশে। বিশেষ করে লাটোরা জাতের এক ধরনের নতুন প্রজাতির প্রাকৃতিক পাখিদের দলবেঁধে চিৎকার করতে দেখা গেছে।
জানা গেছে, এখানকার প্রকৃতিবান্ধব অনুকূল পরিবেশের কারণেই এই পাখিগুলোর সংখ্যা অনেক বেশি এখানে। তাদের কিচির-মিচিরে পার্কের আশপাশে মোহনীয় আবহ সৃষ্টি করেছে। এই পাখিদের আসার আরেকটি কারণ রয়েছে। সেচা হচ্ছে পাশেই রয়েছে ছোট্ট পরিসরে মাছে ভরা একটি কৃত্রিম লেক। মাছরাঙ্গা আর লাটোয়া পাখি দুটোই মাছ শিকারি। তাই হয়তো পরিবেশ উপযোগী বলে এই স্থানটিকে পছন্দ করেছে ওরা।
এই বিষয়ে পার্কের প্রতিষ্ঠাতা ও এসব পাখিদের খাবার ও বাসস্থান প্রদানকারী নাছির উদ্দিন দিদার বলেন, আমার নিজের জমির পাশাপাশি রেলওয়ে ও সড়ক থেকে কৃষি অনুমোদন নেওয়া এই পার্কটিতে আমি সবুজ বৃক্ষরাজির সমন্বয় করেছি প্রকৃতি প্রেমিক হিসেবেই। পাখিরাও প্রকৃতির একটি অংশ। দলে দলে পাখি আমার এই পার্কে আসতে শুরু করেছে দেখে আমিও আনন্দিত।
তিনি বলেন, পাখিরা যদি এখানেই স্থায়ীভাবে থাকছে দেখি, তাহলে আমার পার্কের একটি অংশ আমি পাখিদের অভয়ারণ্য হিসেবে ছেড়ে দেব। দর্শকরা শুধু দূর থেকে দেখবে। কেউ ওদের বিরক্ত করার জন্য ওদের কাছে যেতে পারবে না।
