খালার বাড়িতে প্রেম থেকে পালিয়ে বিয়ে, অতঃপর...
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ মে ২০১৮, ০৩:৩৭ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
খালার বাড়িতে পরিচয় থেকে প্রেম। অতঃপর তা গড়ায় পরিণয়ে। আর মাত্র চার মাস আগে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন শারমিন আক্তার (২৪)। বিয়ের পর তিনি জানতে পারেন স্বামী নাছির আগেও একটি বিয়ে করেছিলেন।
যার হাত ধরে সবকিছু ছেড়ে অজানায় পাড়ি দিতে চেয়েছেন তার এমন আচরণে প্রচণ্ড মর্মাহত হন নববধূ শারমিন। শুক্রবার রাতে উপজেলা মুক্তিরবাগের ভাড়া বাসার ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
খবর পেয়ে গভীর রাতে পুলিশ বাসার দরজা ভেঙে শারমিনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শারমিনের গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার কাজিরহাট থানাধীন পশ্চিম রতনপুর এলাকায়। তার বাবার নাম আব্দুর রহিম। বাবা-মায়ের সঙ্গে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা পশ্চিমপাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
একই বাড়িতে নাছিরের খালা ভাড়া থাকতেন। খালার বাসায় যাতায়াতের সুবাদে নাছিরের সঙ্গে শারমিনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। চার মাস আগে তারা পালিয়ে বিয়ে করেন। কিছুদিন আগে শারমিন জানতে পারেন নাছির আগেও একটি বিয়ে করেছিলেন এবং তিনি এক সন্তানের জনক।
শুক্রবার নাছিরের প্রথম স্ত্রী শারমিনের বাসায় এসে তাকে গালমন্দ করে এবং তাদের মধ্যে প্রচণ্ড ঝগড়া হয়। এ সময় নাছির প্রথম স্ত্রীকে মৌখিক তালাক দেন এবং শারমিনকে গালাগাল করেন। পরে প্রথম স্ত্রী বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর নাছিরও বাসা থেকে চলে যান।
পরে রাত ১২টার দিকে বাসায় ফিরে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ পেয়ে জানালা দিয়ে শারমিনকে ফাঁস দেয়া অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার একদল পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে শারমিনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এসআই মুনসুর আলী জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসার দরজা ভেঙে ওই নববধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত করার জন্য মরদেহ মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
